|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবারের রাতটা ছিল গোলের উৎসব। নয়টি ম্যাচে হয়েছে ৪৩ গোল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। জার্মানির মাটিতে বায়ার লেভারকুসেনকে ৭–২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন বার্সেলোনা ও পিএসভি আইন্দহোভেন ছয় গোল করে জয় পেয়েছে। আর্সেনাল ৪–০ গোলে হারিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদকে। আর ম্যানচেস্টার সিটি ২–০ গোলে জিতেছে ভিয়ারিয়ালের মাঠে।
লেভারকুসেনের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন দেজিরে দুয়ে। তিনি দুটি গোল করেন। এছাড়া গোল করেন উইলিয়ান পাচো, খভিচা কভারাতস্কেলিয়া, নুনো মেন্ডেস, ওসমান দেম্বেলে ও ভিতিনিয়া। লেভারকুসেনের হয়ে দুটি গোল করেন আলেইক্স গার্সিয়া।
প্রথমার্ধেই দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেন—রবার্ট আন্দরিখ ও ইলিয়া জাবারনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নুনো মেন্ডেস গোল করে ব্যবধান বাড়ান। এরপর দেম্বেলে ফিরলেন গোল দিয়েই। ব্যালন ডি’অর জয়ের পর এটিই ছিল তার প্রথম ম্যাচ।
এই ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড গড়ে ফেলল পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের মাঠে সাত গোল করল তারা। তিন ম্যাচ শেষে তারা সর্বোচ্চ ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
ইতালির ইন্টার মিলানও শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। ইন্টার ৪–০ গোলে হারিয়েছে ইউনিয়ন সেইন্ট জিলোইঁকে। গোল করেছেন ডেনজেল ডুমফ্রিস, লাওতারো মার্টিনেজ, হাকান চালহানওলু ও পিও এসপোসিতো।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আবারও গোল করেছেন আরলিং হালান্ড। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে তিনি প্রথম গোলটি করেন, দ্বিতীয়টি বার্নার্দো সিলভা। কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘দল প্রতিদিন একটু একটু করে ভালো হচ্ছে, এটা ভালো লক্ষণ।’
পিএসভি আইন্দহোভেনও দারুণ জয় পেয়েছে। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে তারা ৬–২ গোলে হারায়। ম্যাচে গোল করেন ইসমায়েল সাইবারি, ডেনিস ম্যান (দুটি), রিকার্ডো পেপি ও কৌহাইব ড্রিউয়েচ।
নিউক্যাসল ইউনাইটেড ৩–০ গোলে হারিয়েছে বেনফিকাকে। গোল করেছেন অ্যান্থনি গর্ডন ও হাভি বার্নস (দুটি)। বেনফিকা এখনো কোনো পয়েন্ট পায়নি।
দিনের একমাত্র গোলশূন্য ম্যাচটি হয় কাজাখস্তানে, যেখানে কাইরাত আলমাটি ও পাফোসের লড়াই শেষ হয় ০–০ ফলে।
