Logo
Logo
×

খেলা

বিসিবিতে জমা পড়া ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে?

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

বিসিবিতে জমা পড়া ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে?

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্ত শেষে তিন সদস্যের কমিটি ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কী আছে তদন্ত প্রতিবেদনে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। 

বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত কমিটি যেসব খেলোয়াড় ও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে, তার সবই রিপোর্টে লিখেছে। হয়তো বাহুল্য বিষয় বেশি এসেছে। তবে বেশ কিছু দুর্নীতি, ফিক্সিংয়ের সন্দেহ উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। যেগুলোর আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। 

গত আগস্টে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স মার্শাল। সব মিলে বড় পরিবর্তন বলা যায়। বিপিএলের ফিক্সিং বা দুর্নীতির ঘটনাগুলো খুঁজে বের করার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য হলেন-আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম। 

মির্জা হোসেনের কমিটি যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তা মূলত ধারণা ও অনুমাননির্ভর। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কাউকে শাস্তির আওতায় আনা যাবে না। ৯০০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন নিয়ে এখন স্বাধীনভাবে কাজ করবেন অ্যালেক্স মার্শাল। 

বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে কমিটি। স্পিনার নাঈম হাসান ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিসিবিকে জানান। তদন্ত প্রতিবেদনে এর প্রশংসা করা হয়েছে। রিপোর্টের স্বচ্ছতা রক্ষা এবং খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য গোপনীয়তা বজায় রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিবি।

সঠিক প্রমাণ ছাড়া এই রিপোর্ট দিয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বোদ্ধারা। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিসিবির পরিচালক ও সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা রিপোর্ট পেয়ে সরাসরি মার্শালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এটা আলাদাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। মার্শাল এ ব্যাপারে জানালে আমরা জানতে পারব।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম