বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আবারও সেই বিতর্কিত রেফারি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
ক্লিফোর্ড পোস্তানিস দেপুয়াত/ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত জুনে ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হেরে যায়। সেই ম্যাচের শেষ দিকে বড় বিতর্ক তৈরি হয়। ৯৩তম মিনিটে ডিবক্সে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে পেছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব। বাংলাদেশ মনে করেছিল এটি স্পষ্ট পেনাল্টি। কিন্তু রেফারি বাঁশি না বাজানোয় সমর্থকদের ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।
এবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ সামনে। এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ঠিক তখনই জানা গেল—সেই বিতর্কিত রেফারি আবারও দায়িত্বে। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করবেন ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফোর্ড পোস্তানিস দেপুয়াত।
তিনি ২০১৪ সাল থেকে ফিফা রেফারি। ২০২৫ সালের জন্য ফিলিপাইনে যারা ফিফা ব্যাজ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ক্লিফোর্ডই সবচেয়ে অভিজ্ঞ।
তার সঙ্গে দুই সহকারী রেফারিও ফিলিপাইনের। নানোলা ক্রিজমার্ক ২০১৭ সাল থেকে এবং লাচিচা জিওভানি ২০১৮ সাল থেকে ফিফা সহকারী রেফারি। আজকের ম্যাচে দায়িত্বে থাকা এই তিনজনই অভিজ্ঞ। আর তারা তিনজনই ছিলেন সেই সিঙ্গাপুর ম্যাচে।
সেই ম্যাচে পেনাল্টি না দেওয়ায় তারা বড় সমালোচনায় পড়েছিলেন। পেনাল্টি দিলে ম্যাচের ফল বদলে যেতে পারত বলে মনে করে বাংলাদেশ দল ও সমর্থকরা।
ম্যাচ পর্যবেক্ষণের জন্য একজন অ্যাসেসর থাকেন। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে অ্যাসেসর হিসেবে এসেছেন জর্ডানের নাসের মোস্তফা। তিনি সাবেক ফিফা রেফারি। ম্যাচের সার্বিক দায়িত্ব ম্যাচ কমিশনারের। এই ম্যাচে কমিশনার মিয়ানমারের সি থু উইন।
চতুর্থ রেফারি দক্ষিণ এশিয়ার। শ্রীলঙ্কার কাশুন লাকমাল এই দায়িত্বে থাকবেন। তিনি ১৩ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচেও রেফারিং করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে চতুর্থ রেফারির ভূমিকাও আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেন। এতে খেলোয়াড় বদল করতে সময় লেগে যায়। সিঙ্গাপুর ম্যাচে এই কারণে হামজা বিরক্ত হয়েছিলেন।
