ইংল্যান্ডের ভরাডুবির কারণ ‘অতিরিক্ত অনুশীলন’ — স্বীকারোক্তি ম্যাককালামের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আট উইকেটে হারের পর ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বললেন, তার দল বেশি অনুশীলন করার কারণেই হেরেছে। এই ম্যাচের আগে দল গোলাপি বলে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাককালাম মনে করছেন, সমস্যা ছিল পুরোপুরি উল্টো।
ম্যাককালাম বলেন, ‘আমরা পাঁচ থেকে দশটা অনুশীলন সেশন করেছি। কখনও কখনও বেশি করে ফেলি। আমরা হয়তো বেশি অনুশীলনই করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই খেলা মাথার দুই ইঞ্চিতে খেলা হয়। আমাদের এমনভাবে প্রস্তুত থাকতে হয় যাতে শরীর আর টেকনিক ঠিক থাকে। কিন্তু সেই সঙ্গে সতেজ থাকাটাও দরকার। যাতে কঠিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ড চার ইনিংস পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিতে পারলেও বড় সংগ্রহ দিতে পারেনি। সপ্তম উইকেটে বেন স্টোকস আর উইল জ্যাকস ৯৬ রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু দুজনই ১৭ বলের ব্যবধানে আউট হন। ইংল্যান্ড থামে ২৪১ রানে। অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল মাত্র ৬৫। তারা তা তুলে নেয় মাত্র ১০ ওভারে। এতে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ শেষে রিকি পন্টিংয়ের প্রশ্নে ম্যাককালাম হেসে বলেন, ‘আমরা হয়তো আজ রাতে একটা বিয়ার খাব।’ এরপরই তিনি জানান, তার মনে হয়েছে দল বেশি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল।
ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি নিয়ে সমালোচনা আগে থেকেই চলছিল। ক্যানবেরায় প্রাইম মিনিস্টার্স এক্সআইয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের না খেলানোয় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। মাইকেল ভন বলেছিলেন, এটা হলে ‘ছেলেমানুষী’ হবে।
গোলাপি বলের টেস্টে ইংল্যান্ডের রেকর্ডও খারাপ। তারা এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচে দুটো জিতেছে আর ছয়টিতে হেরেছে। ব্রিসবেনে রাতে ব্যাট করতে নেমে দুই সেশনেই তারা ২০ উইকেটের ১১টি হারায়। আলোতে কয়েকটি ক্যাচও ফেলে দেয়।
প্রথম ইনিংসে জো রুটের সেঞ্চুরি আর জ্যাক ক্রলির ৭৬ ছাড়া বড় ইতিবাচক কিছু ছিল না। দুজন মিলে ১১৭ রান যোগ করেন। ইংল্যান্ডের মোট রান ছিল ৩৩৪। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটার দুই অঙ্কে রান করে ৫১১ তোলে। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ১৭৭। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু করলেও দ্রুতই পথ হারায়। ৯০ রানে যেখানে ১ উইকেট খুইয়েছিল দলটা, সেখান থেকে ১২৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হাওয়া হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। স্টোকস আর জ্যাকসের লড়াইও শেষ পর্যন্ত দলের হার আটকাতে পারেনি।
