দিলেন পদত্যাগের ইঙ্গিতও
পূর্বাচল স্টেডিয়ামে ‘মাটি চুরি’ ইস্যুতে নড়েচড়ে বসলেন পাইলট
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম
ছবি-ক্রিকবাজ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিসিবির গ্রাউন্ড কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে কাজের মান ভালো না হলে তিনি নিজেই পদ ছাড়বেন। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামকে সরিয়ে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যান এবং স্টেডিয়ামের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা ১৫, ৩০ বা ৪০ বছর ধরে দেখছি মানুষ আসে আর যায়। আমাদের মতো মানুষ আসলে খুব খারাপ। আমি পরিচালক হিসেবে বলছি, আমাদের মতো মানুষ ক্রিকেট বোর্ডকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। এই চেয়ারগুলোও ব্যবহার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ যেন আমাকে এমন সুযোগ না দেন। আমি করতে চাই না। যদি দেখি আমি কাজ পারছি না, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে যদি দেখি ভালো কাজ করতে পারছি না, তাহলে আমার মনে হয় আমি ছেড়ে চলে যাব।’
মাসুদ বলেন, ‘আমি চেয়ারের জন্য আসিনি। আমি ক্রিকেটের উন্নতির জন্য এসেছি। যদি দেখি কাজ পারছি না, তাহলে থাকার কোনো মানে নেই। আমি টাকা রোজগার করতে আসিনি। আমার কাছে চেয়ার গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি কতটা ভালো কাজ করতে পারব এবং কতটা জ্ঞান দিতে পারব।’
এদিকে তিনি জানান, পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাটি চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর মাটি ‘অনিয়মের মাধ্যমে সরানোর’ অভিযোগ উঠে। মাসুদ বলেন, ‘আমি শুনেছি। জানলাম যে ২০ হাজার সিএফটি মাটি পড়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন মাপজোখ করে দেখা গেছে ৭ হাজার ৫০০ সিএফটি মাটি আছে। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ সিএফটি মাটি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে সন্দেহ করা খুব খারাপ। আগে ঠিকভাবে জানতে হবে। বিল দেখে মনে হলো ২০ হাজার সিএফটি মাটির অর্ডার ছিল। কিন্তু মাপজোখে ৭ হাজার ৫০০ পাওয়া গেছে। পড়েনি? নাকি পড়েছে? কে সাইন করেছে? কে করেনি? সব দেখতে হবে।’
মাসুদ বলেন, ‘একটা খুব স্বচ্ছ তদন্ত কমিটি করতে হবে, যাতে পুরো ঘটনাটা বের হয় এবং বোঝা যায় কে কে জড়িত।’
