ইচ্ছে করেই স্টাম্পিং করলেন না ব্যাটসম্যানকে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান আইএল টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বিচিত্র সব ঘটনা ঘটছে। যেখানে ডেজার্ট ভাইপার্সের ব্যাটসম্যান ম্যাক্স হোল্ডেনকে স্টাম্পিং আউট করার সুযোগ পেয়েও আউট করেননি এমআই এমিরেটসের উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরান।
অনেক সময় দ্রুতগতিতে রানআউট করার চেষ্টায় বল ফসকানো কিংবা ব্যাটসম্যানের ক্ষিপ্রতায় স্টাম্পিং আউট মিস হওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে নিকোলাস পুরান সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবেই আউট করেননি হোল্ডেনকে। চাঞ্চল্য তৈরি করা সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পুরান-হোল্ডেনের সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে আফগান তারকা রশিদ খানের করা ম্যাচের ১৬তম ওভারে। পুরান রানআউট না করায় বিস্ময়ের সঙ্গে টিভি ধারাভাষ্যকার বলতে থাকেন, ‘ওহ! তিনি স্টাম্পিং করলেন না। তাকে স্টাম্পিং আউট করলেন না।’
আরেকজন বলেন, ‘আম্পায়ার ওয়াইডের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। (পপিং ক্রিজ থেকে ব্যাটারের) বেশ দূরত্ব থাকায় এটি স্টাম্পিং করা যেত।’ চাঞ্চল্যকর ওই দৃশ্যে আম্পায়ারকেও মুচকি হাসতে দেখা যায়।
মূলত মন্থর গতিতে ব্যাট করছিলেন ডেজার্ট ভাইপার্সের ব্যাটার ম্যাক্স হোল্ডেন। ফলে তার উইকেট টিকিয়ে রাখাই এমিরেটসের জন্য মঙ্গল। ধারণা করা হচ্ছে–সেই কারণেই তাকে আউটের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাননি পুরান!
তবে এমআই এমিরেটসের সেই কৌশল বেশিক্ষণ কাজে লাগেনি। কারণ এক বল পরেই তাকে রিটায়ার্ড হার্ট দেখিয়ে তুলে নেয় ডেজার্ট ভাইপার্স। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৩৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেছেন হোল্ডেন। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরার পরবর্তী ৪ ওভারে ৪১ রান তুলে ভাইপার্সের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৫৯ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় এমআই এমিরেটসের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। ১৪ তুলে ১ রানের ব্যবধানে হেরে যায় সাকিব-রশিদ-পুরানদের দলটি।
এর আগের ম্যাচে মন্থর গতিতে রান তোলায় সাকিব আল হাসানকে রিটায়ার্ড হার্ট করে তুলে নিয়েছিল এমআই এমিরেটস। ১২ বলে ১৬ রান করে তিনি ক্রিজ ছাড়েন। এরপর বল হাতে উইকেটশূন্য থেকে ২ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন সাবেক এই বাংলাদেশি অধিনায়ক। সেই ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের দরুন গতকাল একাদশেও জায়গা মেলেনি সাকিবের। তবে তার মতোই রিটায়ার্ড হার্টের নজির দেখায় প্রতিপক্ষ ডেজার্ট ভাইপার্স। শেষ পর্যন্ত ১ রানে জিতে তাদের সেই কৌশল কাজে লেগেছে।
