সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মোহালির মুল্লানপুরে বৃহস্পতিবারের রাতটা ভারতীয় ক্রিকেট দল ভুলেই যেতে চাইবে। পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত হেরে গেছে ৫১ রানের বড় ব্যবধানে। এই হারের ফলে ভারত গড়ে ফেলেছে ৩টি লজ্জার রেকর্ড।
প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৩ রান তোলে। কুইন্টন ডি কক ৪৬ বলে ৯০ রান করেন। পরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ১৬২ রানে অলআউট হয়। তিলক ভার্মা অর্ধশতক করেও দলকে বাঁচাতে পারেননি।
এর ফলে ভারত প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টি–টোয়েন্টিতে ৫০ রানের বেশি ব্যবধানে হারল। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২২ সালে ইন্দোরে ভারতের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের জয় পেয়েছিল। ২০১৬ সালে নাগপুরে নিউজিল্যান্ড ভারতের বিরুদ্ধে ৪৭ রানে জিতেছিল।
দেশের বাইরে অবশ্য এর চেয়েও বড় রানে হারার অভ্যাস ভারতের আছে। দেশটির সবচেয়ে বড় টি–টোয়েন্টি হার এসেছিল ২০১৯ সালে, ওয়েলিংটনে। সেদিন নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল ভারত।
এই ম্যাচের পর টি–টোয়েন্টিতে ভারতকে রেকর্ড ১৩ বার হারানো দল বনে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ১২ বার করে ভারতকে হারিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ বার করে জিতেছে।
এই ম্যাচে ভারতের সব দশ উইকেটই নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের বিরুদ্ধে সব উইকেট পেসারদের নেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবং ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত ৯টি উইকেট পেসারদের কাছে হারিয়েছিল।
আরেকটি তথ্য হলো, জসপ্রিত বুমরা ও অর্শদীপ সিং একসঙ্গে খেললে ভারত এর আগে কখনো টি–টোয়েন্টিতে হারেনি। এই ম্যাচের আগে দুজনকে নিয়ে ভারত ১৩ ম্যাচে জিতেছিল। এর মধ্যে ছিল ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আটটি জয়। এবার প্রথমবার দুইজন একসঙ্গে খেলেও দল হেরে গেল।
