অভিযুক্তরা অপরাধী প্রমাণ হলে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হবে
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫০ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বিপিএলের নিলামে রাখা হয়নি নয় ক্রিকেটারকে। এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এনামুল হক বিজয়সহ আরও কয়েকজন। আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথাও বলেছেন। বিসিবি অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের নাম যদিও প্রকাশ করেনি।
বৃহস্পতিবার গুলশানের নাভানা টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল এবং বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমানও অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেননি। মার্শাল জানিয়েছেন, বিপিএলকে ফিক্সিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাকে এবার টুর্নামেন্টে রাখা হচ্ছে না।
যাদের বিপিএলে রাখা হয়নি তারা কি নিষিদ্ধ? মার্শাল বলেন, ‘তাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের বিপিএল থেকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা এটি। ওই ব্যক্তিরাই মামলা বা পিটিশন করায় নাম প্রকাশ্য হয়েছে। বোর্ড কারও নাম প্রকাশ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। তদন্ত যত এগোবে, তালিকায় নতুন নামও যুক্ত হতে পারে। এবার বিপিএলকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও উঁচুমানের টুর্নামেন্ট করতে আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে। নতুন ইন্টিগ্রিটি ইউনিট, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, বিসিবি, দল মালিকরা, কোচ-ম্যানেজাররা, খেলোয়াড়রা-এমনকি মিডিয়াও সবাই মিলে কাজ করলেই আমরা একটি বিশুদ্ধ টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।’
মার্শাল বলেন, ‘আমরা প্রমাণ খুঁজব। আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা, দেখব। কয়েক মাস পর যখন পুরো কেসটা তৈরি হবে, তখন ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেবে যে, অভিযুক্তরা অপরাধী নাকি নিরপরাধ। যদি অপরাধী প্রমাণিত হয়, তাহলে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হবে।’
প্রশ্ন উঠেছে, দোষীদের অপরাধ প্রমাণ না হওয়ার পরও কেন ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়া হলো। তারা তো পারিবারিকভাবেও অপমানিত হচ্ছেন। এ নিয়ে বিসিবির আইনজীবী ও ইন্টিগ্রিটি ইউনিটির হয়ে কাজ করা ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, ‘আমার জানামতে এভাবে বাদ দেওয়ার ঘটনা (বিশ্বের মধ্যে) প্রথম। এখানে বেশ কিছু বিষয় আছে। আমাদের দেশের বিভিন্ন ঘটনা দেখলে বুঝবেন, অনেকেই চূড়ান্ত বিচারে দোষী হননি। কিন্তু তারা দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। এই অবস্থায় কিছুই করার নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে বা আইনি কারণে তাদের জেল খাটতে হয়েছে। এখানে সেরকম একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে এই খেলায় দুর্নীতি কিংবা ফিক্সিং করলে তাকে শাস্তি দেওয়ার কি বাস্তবে কোনো আইন আছে? মাহিন বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে এমন কোনো আইন নেই। তবে যেহেতু অন্যায় করেছেন অভিযুক্ত, তখন তাকে দুর্নীতির আওতায় এনে আইনে ফেলা যায়। আমাদের দেশের খেলার কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট এবং অন্য খেলার জন্য আইন তৈরি করা উচিত। এজন্য বিভিন্ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
