|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত সপ্তাহে কলকাতা হায়দরাবাদ মুম্বাই ও দিল্লি সফরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো দি পল। ইন্টার মায়ামির এই মহাতারকাদের সফরটি ছিল পুরোপুরি বাণিজ্যিক। এই সফরের জন্য মেসি একাই পেয়েছেন ৮৯ কোটি রুপি।
পুরো সফরের মোট খরচ ছিল ১০০ কোটি রুপি। কলকাতার ঘটনায় আটক প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পেয়েছে ভারতের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)। বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর নিশ্চিত করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে শতদ্রু দত্ত জানিয়েছেন, মেসিকে ৮৯ কোটি রুপি দেওয়ার পাশাপাশি ভারত সরকারকে কর হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি রুপি। এই বিপুল অর্থের জোগান নিয়ে শতদ্রুর দাবি, ৩০ শতাংশ টাকা এসেছে স্পনসরদের কাছ থেকে আর ৩০ শতাংশ এসেছে টিকিট বিক্রি করে।
এদিকে এসআইটি কর্মকর্তারা শতদ্রুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে সেখানে ২০ কোটির বেশি রুপি পেয়েছেন। শতদ্রুর দাবি, এই টাকা কলকাতা ও হায়দরাবাদের ইভেন্টের টিকিট বিক্রি ও স্পনসর থেকে পাওয়া। তবে কর্মকর্তারা এই দাবি খতিয়ে দেখছেন। গত শুক্রবার শতদ্রুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিও জব্দ করা হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর সল্টলেক স্টেডিয়ামে মেসিকে একঝলক দেখার জন্য চড়া দামে টিকিট কিনেছিলেন হাজার হাজার দর্শক। কিন্তু মেসি মাঠে নামার পরই বাধে বিপত্তি। ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মেসিকে এমনভাবে ঘিরে ধরেন যে গ্যালারি থেকে তাকে দেখাই যাচ্ছিল না।
প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে মেজাজ হারান দর্শকেরা। শুরু হয় ভাঙচুর ও লুটপাট। স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে পুলিশের সঙ্গে দর্শকদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামের পথে রওনা দিলেও মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
শতদ্রুর দাবি, শুরুতে মাত্র ১৫০টি গ্রাউন্ড পাস ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু একজন ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি’ স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর পর সেই সংখ্যা তিন গুণ করা হয় এবং তিনি পুরো বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন।
