বিপিএল শুরুর আগের দিন ছিল চরম নাটকীয়তায় ভরা। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনের শুরুতেই আলোচনায় আসে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা পরিবর্তনের খবর। এর রেশ কাটতে না কাটতেই দুপুরের মধ্যেই নেতিবাচক সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

দলের অনুশীলনে নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুশীলন ছেড়ে যান নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দুই কোচ— খালেদ মাহমুদ সুজন ও তালহা জুবায়ের। বিষয়টি দ্রুতই বিপিএল অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তবে নাটকের এখানেই শেষ নয়। বিকালের দিকে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ফের দলে যোগ দেন এই দুই কোচ। ফিরে এসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘হিট অব দ্য মোমেন্টে হয়তবা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দলের মালিকদের ধন্যবাদ— তারা দুজনই আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, বিসিবি থেকেও আমার সঙ্গে কিছুটা কথা বলেছে।’

নিজের ক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করে সুজন বলেন, ‘অনুশীলনের জন্য যে সামগ্রীগুলো দরকার ছিল, সেগুলো আমি পাইনি। তখন স্বাভাবিকভাবেই আমার একটু মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার সঙ্গে হয়তবা একটু বাজে ব্যবহারও হয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম— টুর্নামেন্ট এখনো শুরুই হয়নি, এখনই যদি এমন হয়, তাহলে খেলায় হারলে পরিস্থিতি কী হবে। তৌহিদ এবং আদনান— দুজনই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা পুরোপুরি একটা ভুল বোঝাবুঝি।’

এই ঘটনার ইতিবাচক দিকও দেখছেন সুজন। তার মতে, সময় থাকতেই বিষয়টি মিটে যাওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিরই লাভ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যেটা আজকে হয়েছে, সেটা হয়তবা একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। পরে হওয়ার চেয়ে আগে হয়ে যাওয়াটা ভালো। এটা হয়ে যাওয়াতে আমার মনে হয় আমাদের দলের বন্ডিং আরও ভালো হবে। আমি সেটা বিশ্বাস করি।’

এদিকে বিপিএল শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের প্রথম কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সুজন বলেন, ‘আমি আমার ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সত্যিই খুব খুশি। আমি অনেকগুলো বিপিএল করেছি। আমাদের কাপড়-চোপড় থেকে শুরু করে ভালোমানের জার্সি— সবকিছুই ঠিক আছে। আজকে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়েছে। তারা কথা রেখেছেন, প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। আশা করি, পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে তারা এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন।’

সব নাটকীয়তা পেছনে ফেলে এখন মাঠের লড়াইয়ে মনোযোগ দিতে প্রস্তুত নোয়াখালী এক্সপ্রেস শিবির। বিপিএল শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান দলটির জন্য স্বস্তির বার্তাই নিয়ে এলো।