এটা ফুল না পাখি?

 আল-মামুন 
৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:১৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
ম্যাগনোলিয়া ফুল
এটি ফুল না পাখি তা এক রহস্য। ছবি: সিজিটিএন

প্রকৃতি আসলে কতই না সুন্দর। পাখির মতো দেখতে, কিন্তু সত্যিকারের পাখি নয়! দেখতে পাখির মতো হলেও বাস্তবে তা ফুল। গোলাপি কালারের এই ফুলটির নাম ম্যাগনোলিয়া। 

সম্প্রতি মানকাড আউট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার সাকলাইন মুশতাক এ ফুলটি সিটিজিএন থেকে শেয়ার দেয়ার পর আবারও আলোচনায় চলে আসে পাখির আকৃতির এই ফুলটি।  

বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে জানা গেছে, ম্যাগনোলিয়ার আদি নিবাস আমেরিকার ফ্লোরিডা ও টেক্সাস। শীতপ্রধান দেশে গাছ ২৭ মিটার হলেও আমাদের দেশে ৬ থেকে ১০ মিটার উঁচু হয়। গাছের গড়ন হালকা ও কিছুটা লম্বাটে।

আমাদের দেশের একমাত্র ম্যাগনোলিয়ার নাম দুলিচাঁপা। জন্মে সিলেটের পাহাড়ে। ম্যাগনোলিয়া চিরসবুজ গাছ। সারা বছরব্যাপী পাতা ঝরে ও নতুন পাতা গজায়। কালচে সবুজ পাতাগুলো বড়-লম্বাটে, বিন্যাসে একক ও আয়তাকার।

ঢাকায় রমনা পার্ক, মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, শিশু একাডেমির বাগান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ম্যাগনোলিয়ার দেখা মেলে।

মানকাডিং ও সাকলাইনের টুইট

চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যান জস বাটলারকে ‘মানকাড’ রানআউট করেন কিংস একাদশ পাঞ্জাবের অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। 

মানকাড আউটের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইয়ে যায়। বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররাও মানকাড আউট  নিয়ে অশ্বিনের কঠোর সমালোচনা করেন। 

মানকাড বিতর্ক অন্য দিকে মোর ঘোরাতে এই ফুলটি আপলোড করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি স্পিনার সাকলাইন মুশতাক। আপলোড করার পর অজানা কারণে নিজের টুইটারের ওয়াল থেকে সরিয়ে নেন মুশতাক। 

ফুলের ছবিটি সরিয়ে ফেললেও তা মানুষের মনে দাগ কাটে। অনেকেই অবশ্য পাখির আকৃতির এই ফুলটি শেয়ার করেন।  

প্রসঙ্গত গত সোমবার পাঞ্জাবের ছুড়ে দেয়া ১৮৫ রানের টার্গেট ভালোভাবেই তাড়া করছিল রাজস্থান। ৬৯ রান করে ফেলেছিলেন বাটলার। ইনিংসের ১৩তম ওভারে নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। অশ্বিন বল করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে দেন এ ব্যাটসম্যান। পেছনে ফিরে দেখেন স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছেন বোলার অশ্বিন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন