বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ৯টি দাবি মেনে নেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন ক্রিকেটাররা। শুক্রবার ভারত সফরের জন্য জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দেবেন সাকিব-তামিমরা। শনিবার পুনরায় মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)।
এর আগে গেল সোমবার ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন ডাকেন ক্রিকেটাররা। দাবিগুলোর অন্যতম ছিল ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতাদি বাড়ানো। তাদের এ দাবি নিঃসন্দেহে যুক্তিসঙ্গত। কারণ বিসিবির সেই সামর্থ্য আছে।
অধিকন্তু তাদের চেয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেট বোর্ডও ক্রিকেটারদের বেশি বেতন দেয়। টাইগারদের চেয়ে বেশি বেতন পান জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, শ্রীলংকার ক্রিকেটাররা।
বিশ্বের পঞ্চম ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এখন প্রশ্ন হলো- কীভাবে এ পর্যায়ে এলো দেশের ক্রিকেট সংস্থা। তাদের আয়ের উৎসই বা কী কী? এ নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা থাকতে পারে?
অনেকে ভেবে থাকতে পারেন, বিসিবির অর্থ জোগান দেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট বা সহায়তা করে সরকার কিংবা জনগণের আয়কর থেকে আসে। আসলে ক্রিকেট বোর্ড স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সব আয় আসে ক্রিকেট থেকে এবং ক্রিকেটারদের মাধ্যমে।
বোর্ডের আয়ের একটি বড় অংশ আসে আইসিসির রাজস্ব থেকে। সেখান থেকে বর্তমান চক্রে ১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচ্ছে বিসিবি। আর বিভিন্ন টুর্নামেন্টের লাভ থেকে আসে অর্থ।
বিসিবির আয়ের আরেকটি বড় খাত টিভি স্বত্ব। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টিভি স্বত্ব পেয়েছে গাজী টিভি। ছয় বছরে এখান থেকে ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পাবে বোর্ড।
এ ছাড়া ডিজিটাল রাইটস, টিম স্পন্সর, বিভিন্ন টুর্নামেন্টের স্পন্সর, স্টেডিয়ামের ভেতরে দেয়াল, গ্যালারি, সাইটস্ক্রিন, বাউন্ডারি সীমানায় বিজ্ঞাপন থেকে আসে মোটা অঙ্কের অর্থ।