যুগান্তরকে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাসান মাহমুদ
পাকিস্তানে ভালো খেলাই আমার টার্গেট, অন্য কোনো চিন্তা নেই
বিপিএলের সদ্য শেষ হওয়া আসরে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বেশি আলো ছড়িয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হাসান মাহমুদ। কারণ বিপিএল শেষ হতেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন লক্ষ্মীপুরের এ ক্রিকেটার। ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত রয়েছেন হাসান মাহমুদ।
২০ বছর বয়সী এ তরুণ পেসার নিজের ক্রিকেটার হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন যুগান্তরের স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।
যুগান্তর: জাতীয় দলে ডাক পেলেন, আপনার অনুভূতি কী?
হাসান মাহমুদ: আসলে অনুভূতি বলে বুঝাতে পারব না। বিপিএল শেষে আমি গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ছিলাম। বা-মার সঙ্গে বসেই কথা বলছিলাম, তখন ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফোন করে জানানো হল আমি জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছি, শুনে খুব খুশি হয়েছি। আমার পরিবারের সবাই খুশি। আশা করছি পাকিস্তান সফরে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারব।
যুগান্তর: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে কোন টুর্নামেন্ট বেশি অবদান রেখেছে?
হাসান মাহমুদ: বিপিএলের আগে ইমার্জিং কাপ এবং নেপালে এসএ গেমসে ভালো খেলায় বিপিএল প্লেয়ার ড্রাফটে ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ছিলাম। আমি আসলে ভাগ্যবান যে ঢাকা প্লাটুনের মতো একটি তারকাসমৃদ্ধ দলে মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্বে খেলার সুযোগ পেয়েছি। দলে তিন পাকিস্তানি শহীদ আফ্রিদি, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ এবং শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা থাকা সত্ত্বেও খেলার সুযোগ পেয়েছি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
কোচিং স্টাফদের আমার প্রতি বিশ্বাস ছিল। তাছাড়া মাশরাফি ভাই আমাকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন। বিপিএল পারফরম্যান্স নিয়ে আমি হ্যাপি, প্রথমবার হিসেবে ভালো হয়েছে। মূলত বিপিএলে ভালো করায় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি।
যুগান্তর: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা প্রত্যাশা ছিল?
হাসান মাহমুদ: বিপিএল খেলার সময় চেষ্টা করেছি ভালো করার। বিপিএলে ভালো করলে যে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ আসবে এটা আমার মাথায় ছিল না। আমি আমার মতো পারফর্ম করে গেছি। তবে এত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে সুযোগ আসবে কখনও ভাবিনি। যেহেতু সুযোগ এসেছে চেষ্টা করব নিজের শতভাগ দেয়ার।
যুগান্তর: পাকিস্তান সফর নিয়ে যদি কিছু বলেন-
হাসান মাহমুদ: পাকিস্তান সফর নিয়ে আমার মধ্যে তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই। যেহেতু খেলতে যাচ্ছি খেলায়ই ফোকাস দিচ্ছি। ভালো খেলাই আমার টার্গেট। অন্যদিকে কোনো চিন্তা নেই।
যুগান্তর: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প বলুন-
হাসান মাহমুদ: আমি লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই পুরোদমে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। সেই সময় থেকেই খুব ভালো বোলিং করতাম। লক্ষ্মীপুর জেলার হয়ে বয়সভিত্তিক দলে ভালো করার পর বিভাগে সুযোগ পাই। এরপর জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে কক্সবাজারে খেলি। এরপর চট্টগ্রামের হয়ে জাতীয় লিগে খেলি, সেখানে ভালো করায় ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পাই।
যুগান্তর: কখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?
হাসান মাহমুদ: জেলা দল হয়ে বিভাগ, এরপর যখন দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলাম তখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়।
যুগান্তর: ফুটবল, হকিসহ অন্যসব ইভেন্ট রেখে ক্রিকেট কেন বেছে নিলেন?
হাসান মাহমুদ: ক্রিকেট ভালো লাগে, ব্যাটে-বলে যে খেলাটা হয় সেটাই মজার। তাছাড়া ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেট খুব পছন্দ করতাম।
যুগান্তর: ক্রিকেটার না হলে কী হতেন?
হাসান মাহমুদ: ক্রিকেটার না হলে অন্য কিছু করতাম। পড়াশোনা করে অন্য কোনো চাকরির চেষ্টা করতে হতো।
যুগান্তর: অন্য কিছু বলতে কী হতেন?
হাসান মাহমুদ: আসলে ক্রিকেটার না হলে ইঞ্জিনিয়ার হতাম।
যুগান্তর: আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?
হাসান মাহমুদ: আমার প্রিয় ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। ওনার খেলার স্টাইল আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ব্যক্তি হিসেবেও উনি অনেক ভালো। তাছাড়া মাশরাফি ভাই তো আছেনই।
যুগান্তর: ভবিষ্যতে কোন ক্রিকেটারের মতো হতে চান?
হাসান মাহমুদ: অবশ্যই মাশরাফি ভাইয়ের মতো দেশসেরা ক্রিকেটার হতে চাই। অনেক আগ থেকেই ওনাকে অনুসরণ করি। আর বিদেশি শোয়েব আখতার ও ব্রেট লিকে অনুসরণ করতাম। এখন অবশ্য যারা ১৪০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে বল করে তাদের ফলো করি।
যুগান্তর: অবসর সময়ে কী করেন?
হাসান মাহমুদ: ঘুরতে পছন্দ করি।
যুগান্তর: ক্রিকেট ছাড়া আপনার প্রিয় খেলা কী?
হাসান মাহমুদ: ফুটবল। অবসর সময় পেলেই ফুটবল খেলা দেখি।
যুগান্তর: আপনার ফেভারিট ফুটবলার?
হাসান মাহমুদ: আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
পাকিস্তানে ভালো খেলাই আমার টার্গেট, অন্য কোনো চিন্তা নেই
যুগান্তরকে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাসান মাহমুদ
আল-মামুন
১৯ জানুয়ারি ২০২০, ২২:২৫:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
বিপিএলের সদ্য শেষ হওয়া আসরে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা বেশি আলো ছড়িয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হাসান মাহমুদ। কারণ বিপিএল শেষ হতেই জাতীয় দলে ডাক পেলেন লক্ষ্মীপুরের এ ক্রিকেটার।২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত রয়েছেন হাসান মাহমুদ।
২০ বছর বয়সী এ তরুণ পেসার নিজের ক্রিকেটার হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন যুগান্তরের স্পোর্টস রিপোর্টার আল-মামুন। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।
যুগান্তর: জাতীয় দলে ডাক পেলেন, আপনার অনুভূতি কী?
হাসান মাহমুদ: আসলে অনুভূতি বলে বুঝাতে পারব না। বিপিএল শেষে আমি গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ছিলাম। বা-মার সঙ্গে বসেই কথা বলছিলাম, তখন ক্রিকেট বোর্ড থেকে ফোন করে জানানো হল আমি জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছি, শুনে খুব খুশি হয়েছি। আমার পরিবারের সবাই খুশি। আশা করছি পাকিস্তান সফরে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারব।
যুগান্তর:জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে কোনটুর্নামেন্ট বেশি অবদান রেখেছে?
হাসান মাহমুদ:বিপিএলের আগে ইমার্জিং কাপ এবং নেপালে এসএ গেমসে ভালো খেলায় বিপিএল প্লেয়ার ড্রাফটে ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ছিলাম। আমি আসলে ভাগ্যবান যে ঢাকা প্লাটুনের মতো একটি তারকাসমৃদ্ধ দলে মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্বে খেলার সুযোগ পেয়েছি। দলে তিন পাকিস্তানি শহীদ আফ্রিদি, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ এবং শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা থাকা সত্ত্বেও খেলার সুযোগ পেয়েছি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
কোচিং স্টাফদের আমার প্রতি বিশ্বাস ছিল। তাছাড়া মাশরাফি ভাই আমাকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন। বিপিএল পারফরম্যান্স নিয়ে আমি হ্যাপি, প্রথমবার হিসেবে ভালো হয়েছে। মূলত বিপিএলে ভালো করায় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি।
যুগান্তর: জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা প্রত্যাশা ছিল?
হাসান মাহমুদ: বিপিএল খেলার সময় চেষ্টা করেছি ভালো করার। বিপিএলে ভালো করলে যে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ আসবে এটা আমার মাথায় ছিল না। আমি আমার মতো পারফর্ম করে গেছি। তবে এত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে সুযোগ আসবে কখনও ভাবিনি। যেহেতু সুযোগ এসেছে চেষ্টা করব নিজের শতভাগ দেয়ার।
যুগান্তর: পাকিস্তান সফর নিয়ে যদি কিছু বলেন-
হাসান মাহমুদ: পাকিস্তান সফর নিয়ে আমার মধ্যে তেমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই। যেহেতু খেলতে যাচ্ছি খেলায়ই ফোকাস দিচ্ছি। ভালো খেলাই আমার টার্গেট। অন্যদিকে কোনো চিন্তা নেই।
যুগান্তর:আপনার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প বলুন-
হাসান মাহমুদ:আমি লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই পুরোদমে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। সেই সময় থেকেই খুব ভালো বোলিং করতাম। লক্ষ্মীপুর জেলার হয়ে বয়সভিত্তিক দলে ভালো করার পর বিভাগে সুযোগ পাই। এরপর জাতীয় পর্যায়ে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে কক্সবাজারে খেলি। এরপর চট্টগ্রামের হয়ে জাতীয় লিগে খেলি, সেখানে ভালো করায় ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পাই।
যুগান্তর: কখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?
হাসান মাহমুদ: জেলা দল হয়ে বিভাগ, এরপর যখন দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলাম তখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়।
যুগান্তর:ফুটবল, হকিসহ অন্যসব ইভেন্ট রেখে ক্রিকেট কেন বেছে নিলেন?
হাসান মাহমুদ:ক্রিকেট ভালো লাগে, ব্যাটে-বলে যে খেলাটা হয় সেটাই মজার। তাছাড়া ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেট খুব পছন্দ করতাম।
যুগান্তর: ক্রিকেটার না হলে কী হতেন?
হাসান মাহমুদ: ক্রিকেটার না হলে অন্য কিছু করতাম। পড়াশোনা করে অন্য কোনো চাকরির চেষ্টা করতে হতো।
যুগান্তর: অন্য কিছু বলতে কী হতেন?
হাসান মাহমুদ: আসলে ক্রিকেটার না হলে ইঞ্জিনিয়ার হতাম।
যুগান্তর: আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?
হাসান মাহমুদ: আমার প্রিয় ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। ওনার খেলার স্টাইল আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ব্যক্তি হিসেবেও উনি অনেক ভালো। তাছাড়া মাশরাফি ভাই তো আছেনই।
যুগান্তর: ভবিষ্যতে কোনক্রিকেটারের মতো হতে চান?
হাসান মাহমুদ: অবশ্যই মাশরাফি ভাইয়ের মতো দেশসেরা ক্রিকেটার হতে চাই। অনেক আগ থেকেই ওনাকে অনুসরণ করি। আর বিদেশি শোয়েব আখতার ও ব্রেট লিকে অনুসরণ করতাম। এখন অবশ্য যারা ১৪০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে বল করে তাদের ফলো করি।
যুগান্তর: অবসর সময়ে কী করেন?
হাসান মাহমুদ: ঘুরতে পছন্দ করি।
যুগান্তর: ক্রিকেট ছাড়া আপনার প্রিয় খেলা কী?
হাসান মাহমুদ: ফুটবল। অবসর সময় পেলেই ফুটবল খেলা দেখি।
যুগান্তর: আপনার ফেভারিট ফুটবলার?
হাসান মাহমুদ: আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023