চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপাজয়ী ও রানারআপের প্রাইজমানি কত?
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২০, ১২:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনাভাইরাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সফল সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের।
রোববার লিসবনে স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি। তবে ফাইনালের আগেই উচ্ছ্বাস দেখাতে পারে বায়ার্ন।
আর সেটি হচ্ছে অর্থপ্রাপ্তির দিক দিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে সর্বোচ্চ আয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে বায়ার্ন।
টুর্নামেন্ট ইতিহাসে এর আগে আর কোনো ক্লাব এত মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি পায়নি উয়েফার কাছ থেকে।
এক আসরে সর্বোচ্চ ১১৭.৭৩ মিলিয়ন ইউরো আয়ের রেকর্ড ছিল বার্সেলোনার। এবার ফাইনালের আগেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বায়ার্ন। ১০ ম্যাচের ১০টিই জিতে ১২৩ মিলিয়ন ইউরো প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে তারা। চ্যাম্পিয়ন হলে অঙ্কটা ১৩০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে যাবে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে শিরোপাজয়ীদের কত টাকা পুরস্কার দেয়া হবে, রানার্সআপ কত পাবে- তা নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের কৌতূহল সীমাহীন।
উয়েফা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ফুটবলভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকম জানিয়েছে, এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি হিসেবে দেয়া হবে ১৯ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯০ কোটি টাকা)। রানারআপ দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫০ কোটি টাকা)।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মূলত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই প্রাইজমানি নির্ধারিত হয়। সেক্ষেত্রে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া দলগুলো শেষ পর্যন্ত কত প্রাইজমানি পাচ্ছে?
গোল ডটকম ও মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেমিফাইনালিস্ট দল চারটি পাচ্ছে ১২ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২০ কোটি টাকা)। কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ৮ দলের প্রতিটি পাচ্ছে ১০.৫ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ কোটি টাকা)।
এছাড়া রাউন্ড-১৬ এর দলগুলো প্রত্যেকে পাবে ৯.৫ মিলিয়ন ইউরো করে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫ কোটি টাকা) এবং গ্রুপ স্টেজে জয় পাওয়া দলগুলোর প্রত্যেকে পাবে ২.৭ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ কোটি টাকা)।
গ্রুপ স্টেজের ড্র হওয়া ম্যাচে দুই দল পাচ্ছে ৯ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি টাকা)। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ স্টেজে নাম লেখাতে পারলেই প্রতি দলকে ১৫.২৫ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫০ কোটি পঁচিশ লাখ টাকা) দেয়া হয়।
ওই হিসাবে সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই চ্যাম্পিয়ন দল পাচ্ছে ৮২.৪৫ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা)।
