জাতীয় দলে সুযোগের অপেক্ষায় আছি: নাসির
একটা সময়ে জাতীয় দলে অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু তার পারফরম্যান্সে ছন্দ পতনের পাশাপাশি জীবন-যাপনে দেখা দেয় উশৃঙ্খলতা। যে কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সরে যান তিনি।
তবে এবারের বিপিএলে ঢাকা ডমিনেটর্সের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে প্লে-অফে না তুলতে পারলেও ব্যক্তিগতভাবে সফল তিনি। ব্যাটে বলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন নাসির। বল হাতে ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার অলরাউন্ড নৈপুন্যে মুগ্ধ জাতীয় দলের নির্বাচকরাও।
মঙ্গলবার মিরপুরে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয় ঢাকা। এদিন চট্টগ্রামের করা ১১৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়ায় ঢাকা হেরে যায় ১৫ রানে।
এদিন খেলা শেষে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে বিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কথা বলেন নাসির হোসেন।
যুগান্তর: বিপিএলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে যদি কিছু বলেন..
নাসির হোসেন: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি বলব যে, ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। এবারের আসরের শুরু থেকেই ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকেই টার্গেট ছিল দলের জয়ে ডমিনেট করার।
তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যেমন আজকের ম্যাচটায় আমি জিতিয়ে বের হতে পারলে আরেকটু ভালো লাগত। আরও কিছু ছোট ছোট জায়গা ছিল যেখানে উন্নতি করতে পারতাম। তবে সবমিলিয়ে আমি বলব যে বিপিএল আমার পারফরম্যান্স ঠিক আছে।
যুগান্তর: এমন পারফরম্যান্সের পর অবশ্যই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশা করছেন?
নাসির হোসেন: অবশ্যই, তবে এখানে আমার কোনো হাত নেই। জাতীয় দলের নির্বাচকরা আছেন, তারা যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে নিজের সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
যুগান্তর: একটা সময়ে জাতীয় দলে ফিনিশার হিসেবে আপনার সুখ্যাতি ছিল, আবারও সুযোগ পেলে সেই রোল পেলে করতে পারবেন বলে মনে হয়?
নাসির হোসেন: সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব ফিনিশার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার।
যুগান্তর: বিপিএলে অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করেছেন?
নাসির হোসেন: আমি সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। সবসময় দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত হয় বা ভুল কিছু হয়। আমি আমার পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করি যেন, দলের ভালো হয়। আমি খুশি হতাম যদি দল ভালো করত। যেহেতু ফল আসেনি তাই আমি খুশি না। আমার দল সেরা চারে থাকলে বলতে পারতাম খুশি।
যুগান্তর: বিপিএলে আপনার দল ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কী বলবেন?
নাসির হোসেন: আমরা আরও ভালো করতে পারতাম, যদি ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় একিবারে শেষ মুহূর্তে দলে কিছু মান সম্মত খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষ একদম অনভিজ্ঞ। ওনাদের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না যে দল কেমন করা উচিত, দলে কী ধরনের ক্রিকেটার দরকার। এদিক থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম। একটা বছর গেল। এটা যদি পরের বছরও থাকে, আরও ভালো পরিকল্পনা করে দল করতে হবে।
যুগান্তর: আপনার সঙ্গে পরামর্শ করে দল গঠন করা হয়নি?
নাসির হোসেন: আমার সঙ্গে পরামর্শ করেছে। আমি কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলেছিলাম। তবে তারা খেলার জন্য ফ্রি ছিল না। কারণ এখন সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। যে কারণে সবাইকে পাওয়া যায়নি। যাদের পেয়েছে তাদের আনা হয়েছে।
জাতীয় দলে সুযোগের অপেক্ষায় আছি: নাসির
আল-মামুন
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:২৩:৩৪ | অনলাইন সংস্করণ
একটা সময়ে জাতীয় দলে অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু তার পারফরম্যান্সে ছন্দ পতনের পাশাপাশি জীবন-যাপনে দেখা দেয় উশৃঙ্খলতা। যে কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সরে যান তিনি।
তবে এবারের বিপিএলে ঢাকা ডমিনেটর্সের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে প্লে-অফে না তুলতে পারলেও ব্যক্তিগতভাবে সফল তিনি। ব্যাটে বলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন নাসির। বল হাতে ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার অলরাউন্ড নৈপুন্যে মুগ্ধ জাতীয় দলের নির্বাচকরাও।
মঙ্গলবার মিরপুরে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয় ঢাকা। এদিন চট্টগ্রামের করা ১১৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়ায় ঢাকা হেরে যায় ১৫ রানে।
এদিন খেলা শেষে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে বিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কথা বলেন নাসির হোসেন।
যুগান্তর: বিপিএলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে যদি কিছু বলেন..
নাসির হোসেন:আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি বলব যে, ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। এবারের আসরের শুরু থেকেই ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকেই টার্গেট ছিল দলের জয়ে ডমিনেট করার।
তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যেমন আজকের ম্যাচটায় আমি জিতিয়ে বের হতে পারলে আরেকটু ভালো লাগত। আরও কিছু ছোট ছোট জায়গা ছিল যেখানে উন্নতি করতে পারতাম। তবে সবমিলিয়ে আমি বলব যে বিপিএল আমার পারফরম্যান্স ঠিক আছে।
যুগান্তর: এমন পারফরম্যান্সের পর অবশ্যই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশা করছেন?
নাসির হোসেন: অবশ্যই, তবে এখানে আমার কোনো হাত নেই। জাতীয় দলের নির্বাচকরা আছেন, তারা যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে নিজের সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
যুগান্তর: একটা সময়ে জাতীয় দলে ফিনিশার হিসেবে আপনার সুখ্যাতি ছিল, আবারও সুযোগ পেলে সেই রোল পেলে করতে পারবেন বলে মনে হয়?
নাসির হোসেন: সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব ফিনিশার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার।
যুগান্তর: বিপিএলে অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করেছেন?
নাসির হোসেন: আমি সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। সবসময় দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত হয় বা ভুল কিছু হয়। আমি আমার পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করি যেন, দলের ভালো হয়। আমি খুশি হতাম যদি দল ভালো করত। যেহেতু ফল আসেনি তাই আমি খুশি না। আমার দল সেরা চারে থাকলে বলতে পারতাম খুশি।
যুগান্তর: বিপিএলে আপনার দল ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কী বলবেন?
নাসির হোসেন: আমরা আরও ভালো করতে পারতাম, যদি ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় একিবারে শেষ মুহূর্তে দলে কিছু মান সম্মত খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষ একদম অনভিজ্ঞ। ওনাদের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না যে দল কেমন করা উচিত, দলে কী ধরনের ক্রিকেটার দরকার। এদিক থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম। একটা বছর গেল। এটা যদি পরের বছরও থাকে, আরও ভালো পরিকল্পনা করে দল করতে হবে।
যুগান্তর: আপনার সঙ্গে পরামর্শ করে দল গঠন করা হয়নি?
নাসির হোসেন: আমার সঙ্গে পরামর্শ করেছে। আমি কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলেছিলাম। তবে তারা খেলার জন্য ফ্রি ছিল না। কারণ এখন সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। যে কারণে সবাইকে পাওয়া যায়নি। যাদের পেয়েছে তাদের আনা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023