দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে গ্যালারির উত্তেজনা বাড়ালেন শরিফুল
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
১৭২ রান করলেই সিরিজ নিশ্চিত। এমন সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে নিউজিল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৯ রান করে কিউইরা।
এরপর নিউজিল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালান। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ডিন ফক্সক্রফট।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করে বাংলাদেশ।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে একাই লড়াই করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৮৪ বলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। এছাড়া ২১ রান করেন সাবেক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ রান করে করেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। স্কোর বোর্ডে ৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।
নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের করা প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। মিলনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৮ রান।
৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫৯ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন।
এরপর পানি পান বিরতি থেকে ফিরেই আউট হন মুশফিক। লুকি ফার্গুনসনের করা বলটি মুশফিকের ব্যাটে লেগে স্টাম্পে আঘাত করতে যাচ্ছিল, তখন পা দিয়ে বল ঢেকাতে চেষ্টা করেন মুশফিক।
কিন্তু তার আগেই বল স্টাম্পে আঘাত হানে, মুশফিকের পাও স্টাম্পে লেগে যায়। দলীয় ৮৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ২৫ বলে ১৮ রান করেন মুশফিক।
শেষ দিকে আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন টাইগাররা। ৪ উইকেটে ১৩৭ রান করা বাংলাদেশ, এরপর মাত্র ৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানেই অলআউট হয়।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলাটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫৫ রানের টার্গেট তাড়ায় বাংলাদেশ হারে ৮৬ রানে।
