Logo
Logo
×

খেলা

ম্যাচ হেরে হতাশ রাহানে, মারাঠি ভাষায় আফসোস করলেন প্রতিপক্ষ অধিনায়কের কাছে

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

ম্যাচ হেরে হতাশ রাহানে, মারাঠি ভাষায় আফসোস করলেন প্রতিপক্ষ অধিনায়কের কাছে

শ্রেয়াস আইয়ার আর আজিঙ্কা রাহানে, দু’জনই মুম্বাইয়ের ছেলে। তবে আইপিএল তাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তারা এখন একে অপরের প্রতিপক্ষ। শ্রেয়াস আইয়ার এখন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক, আর আজিঙ্কা রাহানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। মঙ্গলবার সেই দুই বন্ধু মুখোমুখি হয়েছিলেন আইপিএলের মঞ্চে, আর নাটকীয় ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় শ্রেয়াসের দল পাঞ্জাব।

মাত্র ১১১ রান তাড়া করতে নেমেও ১৬ রানে ম্যাচ হেরে যায় কেকেআর। খেলা শেষে হতাশ রাহানে শ্রেয়াসকে মারাঠিতে বলেন, “ক্যা ফালতু ব্যাটিং কালি আন আমি?” — বাংলায় যার মানে দাঁড়ায়, “কী বাজে ব্যাট করলাম আমরা, না?”

শ্রেয়াসের জবাব শোনা না গেলেও, রাহানের কণ্ঠে ঝরে পড়ে পরাজয়ের হতাশা। কারণটা পরিষ্কার—এই হারের দায় তার নিজের কাঁধেই নিয়েছেন তিনি।

১১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যখন রাহানে ও অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ব্যাট করছিলেন, তখন কেকেআরের জয় সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৭.৪ ওভারে যুজবেন্দ্র চহলের বলে রাহানের প্যাডে বল লাগার পর আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেন, এবং তিনি রিভিউ না নিয়েই ডাগআউটের দিকে হাঁটা দেন।

রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, বল অফস্টাম্পের বাইরে প্যাডে লেগেছিল — অর্থাৎ, রিভিউ নিলে রাহানে আউট হতেন না। সতীর্থ রঘুবংশী তখনও তাঁকে থামিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষমেশ রাহানে সিদ্ধান্ত নেন না। এই এক ভুলেই বদলে যায় ম্যাচের মোড়।

ম্যাচ শেষে রাহানে বলেন, ‘কিচ্ছু বলার নেই। সবাই দেখেছে কী হয়েছে। ভুল শট খেলেছি। হারের দায় আমার।’ রিভিউ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অঙ্গকৃশ নিশ্চিত ছিল না। মনে হচ্ছিল আম্পায়ার্স কল হতে পারে। আমিও নিশ্চিত ছিলাম না, তাই ওই সময় রিভিউ নষ্ট করতে চাইনি।’

৬২ রানে ২ উইকেট থেকে ৭৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়ে কেকেআর। রাহানের রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত, দলের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা — সব মিলিয়ে এই ম্যাচ কেকেআরের জন্য হয়ে ওঠে হতাশার প্রতীক। আর জয়ী হয়ে চহল-শ্রেয়াসরা লেখেন আইপিএলের নতুন ইতিহাস — সবচেয়ে কম রানের টার্গেট সফলভাবে ডিফেন্ড করে জয়!

ঘটনাপ্রবাহ: আইপিএল- ২০২৫


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম