সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু গোল পাননি মেসি। তার দল মিয়ামিও দেখেছে বড় হার— সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ম্যাচের পুরোটা সময় লড়েছিলেন লিওনেল মেসি। সুযোগ পেয়েছিলেন। শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু গোল পাননি। কখনও ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের রক্ষণ, কখনও দলের জাপানিজ গোলকিপার ইওকি তাকাওকা আটকে দিয়েছে ইন্টার মিয়ামিকে। সবশেষ হারও দেখতে হয়েছে মেসিদের।
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পুরোদস্তর ব্যর্থ হয়েছে মিয়ামি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মেসিদের দল পিছিয়ে ২-০ গোলে। ভ্যাঙ্কুভারের হয়ে আজ দুটি গোল এনেছেন ব্রেইন হোয়াইট ও সেবাস্তিয়ান ব্রেথলটার। আগামী সপ্তাহে ঘরের মাঠে মেসিদের অপেক্ষায় কঠিন পরীক্ষা।
কানাডার মাঠটি আজ রঙে রঙে সেজেছিল। ভ্যাঙ্কুভারের বিসি প্লেস স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এবারই প্রথমবার কানাডায় গিয়ে খেললেন মেসি, সেটির স্মৃতি হতে দর্শকদের ঢল নেমেছিল। তবে মেসি দলকে জেতাতে পারেননি। উল্টো মিয়ামি শঙ্কায় পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স কাপে। আগামী লেগে তাদের কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। নয়তো বিদায়!
"You allowed us to dream again. 3 games to go, give 'em hell boys." 💙 pic.twitter.com/xUF2d4oAdD
— Vancouver Whitecaps FC (@WhitecapsFC) April 25, 2025
ভ্যাঙ্কুভারের কাছে হারের পর মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন মিয়ামি বস হাভিয়ের মাশ্চেরানো। রেফারির সঙ্গে বচসা করে দেখেছেন হলুদ কার্ড। মেসিদের গতিও ছিল স্লথ। আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড় নিয়েও মিয়ামি পরাস্ত করতে পারেনি প্রতিপক্ষের রক্ষণ। উল্টো পাল্টা আক্রমণে পরাস্ত হতে হয়েছে বারবার।
মিয়ামির দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ স্বাগতিক ভ্যাঙ্কুভার প্রথমবার নেয় ২৪ মিনিটে। দারুণ এক হেডে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন ব্রেইন। পরে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ চলে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। মাঝে কয়েকবার ফ্রি কিকের সুযোগ পায় মেসি। কিন্তু বল সববারই যায় গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে।
মেসিদের সর্বোচ্চ হতাশা এনে দেন সেবাস্তিয়ান। ৮৫ মিনিটে জে নেলসনের পাশ ধরে জালে বল জড়ান এই মিডফিল্ডার। তাতেই নিশ্চিত হয় ভ্যাঙ্কুভারের দাপুটে জয়। এবার মেসিদের সামনে কঠিন আরেক পরীক্ষা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে এবং ফাইনাল নিশ্চিত করতে প্রথমত জিততে হবে এবং ব্যবধান কমপক্ষে ৩-০ হতে হবে। কঠিন বটে!
মেসিদের মিয়ামির সেই লড়াই বসবে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে। পহেলা মে সকাল ছয়টা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের লড়াই।
