ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চিপক দুর্গও আটকাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংসের পতন। প্রথমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, এরপর দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সবশেষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ—মহেন্দ্র সিং ধোনির দল ঘরের মাঠে হেরেছে চারটি ম্যাচ। তাতেই কার্যত শেষ হয়ে গেছে এবারের আইপিএল লড়াই।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিশ্চিত হয়নি। তার আগেই ধোনি যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। গতকাল সানরাইজার্সের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর চেন্নাইয়ের অধিনায়ক শুনিয়েছেন ঘাটতির কথা, বলেছেন ব্যর্থতার কারণ। দোষ চাপিয়েছেন এবং পরের মৌসুম নিয়েও ভাবার কথা বলেছেন।
আইপিএলের অন্যতম সফল অধিনায়ক ধোনি এবার নেতৃত্বে ফিরেছিলেন। ব্যাটিংয়েও ওপরের দিকে নেমেছিলেন। যেই লাউ সেই কদু। হারের বৃত্ত কাটাতে পারেনি চেন্নাই। ৯ ম্যাচের মাঝে দুটিতে জিতেছে, বেজে গেছে বিদায়ের ঘণ্টাও। ব্যর্থ ধোনি শুক্রবার রাতে বলেছেন, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই খারাপ করেছে, তার ফল এই হার।
ধোনির দল এবার হেরেছে আটটি ম্যাচ। সব ম্যাচই সিএসকে’র দুর্বলতা ছিল মিডল অর্ডারে। কোনো দিন ব্যাটিং ভালো হলে, বোলিংটা ঠিকঠাক হতো না। কোনোদিন উল্টো। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক সেই দিকটিই বলেছেন গতকাল, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টে একটা-দুটো দুর্বলতা থাকলে কাজ চালানো যায়। কিন্তু দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই যদি ভালো না খেলতে পারে, তাহলে দলে বদল আনতেই হবে। এভাবে সামনের দিকে এগোনো যায় না। আমরা কোনও ভাবেই রান করতে পারছি না।’
হায়দ্রবাদের বিপক্ষেও একই কাণ্ড ঘটেছিল। একসময় ১৩ ওভারে ধোনিদের স্কোর ছিল ১১৪/৪। এরপর এক ব্যাটিং বিপর্যয়। শেষ ছয় উইকেট পড়ে যায় মাত্র ৪০ রানের ব্যবধানে। ধোনিও পারেনি রান করতে। ম্যাচ শেষে ধোনি বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে পিচটা একটু ভালই ছিল। ১৫৫ রান লড়াই করার মতো রান নয়। আমরা আরও কিছু রান তুলতে পারতাম। আমাদের স্পিনাররা ভাল বল করেছে, কিন্তু স্কোরবোর্ডে আরও ১৫-২০ রান থাকলে লড়াইটা জমত।’
প্রায় প্রতি ম্যাচেই যেন একই কথা। ধোনি কদিন আগে শুনিয়েছিলেন, নতুন মৌসুমের পরিকল্পনার করবেন। অর্থাৎ এবারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন সিএসকে অধিনায়ক। গতকালও সেই বিষয়টি সামনে এনেছেন। সামনে এগোনোর পথ যখন বন্ধ তখন ধোনি বোধহয় দুপা পিছিয়ে শুরু করতে চাচ্ছেন। দল নিয়ে কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
