বিশাল জয়ে ‘অল ইংলিশ ফাইনালের’ খুব কাছে ম্যানইউ-টটেনহ্যাম
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৯:০১ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপা লিগ ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলরা প্রতিপক্ষ মাঠে তুলে নিয়েছে এই জয়। অন্য সেমিফাইনালে তাদের ইংলিশ প্রতিবেশী টটেনহ্যাম অবশ্য বোডো/গ্লিমটকে নিজেদের মাঠেই হারিয়েছে ৩-১ গোলে। ফলে ২০১৮-১৯ মৌসুমের পর আবারও অল ইংলিশ ফাইনালের খুব কাছে চলে এসেছে ইউরোপা লিগ।
স্পেনের সান মামেসে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের প্রথম লেগে খেলার শুরুতে বেশ চাপে ছিল ইউনাইটেড। অ্যাথলেটিক বিলবাও একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল। অ্যালেক্স বেরেঙ্গুয়ের একটি শট ঠেকান ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ইনাকি উইলিয়ামসের একটি হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
এমন সময়ে সবাইকে চমকে দিয়ে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো। হ্যারি ম্যাগুয়ারের ডান পাশ থেকে আক্রমণে উঠে এসে পাস দেন উগারতেকে, তার ফ্লিক চলে যায় বিলবাওয়ের বিপদসীমায় থাকা কাসেমিরোর কাছে, আর সেই বলেই হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার।
এরপর ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত। স্বাগতিক ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল ভিভিয়ান রাসমুস হয়লুন্ডকে পেছন থেকে টেনে ধরেন। রেফারি পেনাল্টির পাশাপাশি ভিভিয়ানকে লাল কার্ড দেখান। অ্যাথলেটিক ভক্তরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই পেনাল্টি থেকে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফার্নান্দেজ।
এর কিছুক্ষণ পরেই উগারতের ব্যাকহিল পাস থেকে আবারও গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এই গোলে ১০ জনের অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০তে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেড আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি।
অ্যাথলেটিকের সমর্থকরা ম্যাচজুড়ে রেফারির ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক পর্যায়ে তারা আগের তিফোর সাদা কার্ড নেড়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভুগছে। বর্তমানে তারা ১৪তম স্থানে আছে। ফলে ইউরোপা লিগ জয়ই তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার একমাত্র সুযোগ।
একই রকম সুযোগ টটেনহ্যামের সামনেও। প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা দলটা গতকাল নেমেছিল ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে হলে তাদেরও ইউরোপা জিততেই হবে। বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে তারাও জয় তুলে নিয়েছে।
প্রথম মিনিটেই ব্রেনান জনসনের গোলে এগিয়ে যায় স্পার্সরা। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেমস ম্যাডিসন। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে দলকে তিন গোলে এগিয়ে দেন ডোমিনিক সোলাঙ্কে। তবে শেষ মুহূর্তে সফরকারীরা ব্যবধান কমায় উলরিক সল্টনেসের গোলে। যার ফলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টটেনহ্যামকে।
২০১৮-১৯ মৌসুমের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ইংলিশ ক্লাব চেলসি আর আর্সেনাল। এরপর থেকে এক ইউনাইটেডই এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পেরেছে, তবে শিরোপা জিততে পারেনি ২০২০-২১ মৌসুমের ওই ফাইনালে। এবার প্রিমিয়ার লিগের দুই দল ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করল। সে সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেয় কি না, সে প্রশ্নের জবাব মিলবে আগামী বৃহস্পতিবার রাতে, ফিরতি লেগের লড়াইয়ে মাঠে নামবে সেমিফাইনালিস্ট চারটি দল।
