টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন
আগস্টে কোহলিদের বাংলাদেশে পাঠাতে চায় না বিসিসিআই
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আগামী আগস্টে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে ভারতের। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ভারতের বাংলাদেশ সফর করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, ‘সিরিজটি ক্যালেন্ডারের অংশ হলেও এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। চলমান পরিস্থিতির জন্য ভারতের বাংলাদেশ সফর না করার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’
বিসিসিআই সূত্র ‘চলমান পরিস্থিতি’ বলতে কি বুঝিয়েছেন, তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছে। এক ফেসবুক পোস্টে ফজলুর রহমান লিখেছেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফজলুর রহমানের বক্তব্য সরকার সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করতে চায় যে মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত। এ মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়, এবং সে জন্য সরকার এ মন্তব্য কোনোভাবে অনুমোদন করে না কিংবা সমর্থন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছে, মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যকে যেন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত না করা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে আরও লিখেছে, চলমান পরিস্থিতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিসিআই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনের ব্যাপারে এখনো বিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনো মন্তব্য করেনি।
