সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থগিত করা হয়েছে এবারের আসর। এরআগের দিন পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের মাঝ সময়ে। ভারতের একাধিক পত্রিকা জানিয়েছে, তড়িঘড়ি করে মাঠ ছেড়েছিলেন খেলোয়াড়েরা।

দিল্লি-পাঞ্চাব ম্যাচটি বসেছিল ধর্মশালায়। ভারতের এই মাঠটির পাশেই আক্রমণ চালাচ্ছিল পাকিস্তান। ম্যাচ যখন ১০ ওভার পেরিয়েছে, তখন অফিসিয়ালরা ফ্লাডলাইট বন্ধ করে দেয় এবং খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালসদের দ্রুত বের করে নেয়। তাদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।

বিসিসিআইয়ের বরাতে দেশটির গণমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলা যখন বেড়ে যাচ্ছিল তখন খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ধর্মশালার পাশে থাকা চন্ডীগড় বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিমান ব্যবহার করা যায়নি। সড়ক পথও ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে বিসিসিআই। সেই ট্রেনে মিচেল স্টার্ক, জস ইংলিশ, শ্রেয়াস আইয়ার সহ সব খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, ব্রডকাস্টিংয়ের সঙ্গে যুক্তদের ফেরানো হচ্ছে।

তবে কখন ট্রেনটি ছাড়বে বা ছেড়ে গেছে কিনা, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। একই সঙ্গে ট্রেনটি ঠিক কোন গন্তব্যে পৌঁছাবে তাও জানায়নি ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।

বিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে ফেরানোর জন্য ধর্মশালা থেকে একটা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি। এখনও পর্যন্ত ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে এবং স্টেডিয়াম খালি করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। এখনও পর্যন্ত প্লেয়ারদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে প্রধান। ম্যাচটা পরিস্থিতির কারণে হতে পারেনি।’

পাকিস্তান-ভারত হামলা-পাল্টা হামলার মাঝে পিএসএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে গেছে পাকিস্তান। তবে ভারত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি স্থগিত করে দিয়েছে। কবে নাগাদ বাকি ম্যাচগুলো বসতে পারে, বোর্ডের পক্ষ থেকে তাও নিশ্চিত করা হয়নি।