পাকিস্তানে শঙ্কিত রিশাদ-নাহিদ, সর্বশেষ অবস্থা জানাল বিসিবি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে গিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা।
পিএসএল চলাকালীন সময়ে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভারত পাকিস্তানে একাধিক ড্রোন হামলা করে। সেই হামলার কারণে পিএসএল স্থগিত হয়ে যায়। একই ভাবে স্থগিত হয়ে গেছে ভারতে চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (আইপিএল)।
পাকিস্তানে ড্রোন হামলার পর থেকেই সেখানে থাকা রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানার নিরাপত্তায় যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নিরাপত্তা শঙ্কায় ইতোমধ্যেই পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আজ রাতে আরব আমিরাতে যাবেন রিশাদ-নাহিদরাও। এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘গত মঙ্গলবার থেকে দুই দেশের মধ্যে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এটা আমাদের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আপনারা জানেন আমাদের দুজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় পাকিস্তানে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলছে। সেই টুর্নামেন্ট থেকে যখন আমরা প্রথম খবর পেয়েছি তখন ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে শাহরিয়ার নাফিস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছে। আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিএসএলের সিইও—এর সাথে যোগাযোগ করেছি, ফোনে কথা বলেছি।’
ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘আমি পিসিবির সভাপতিকেও মেসেজ পাঠিয়েছি। নিয়মিত তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম। আপনারা জানেন সবাইকে একসময় একসঙ্গে করা হয়েছিল, এখানে শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটারই ছিলেন না অনেক বিদেশি ক্রিকেটার ছিল। সম্মিলিত প্রচেষ্টা করছিলেন কিভাবে এটার সমাধান বের করা যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা আজকে চেষ্টা করবে যাতে এখান থেকে নিরাপদ কোনো জায়গায় সরিয়ে নেয়া যায়। পাশাপাশি বোর্ড থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’
ফারুক বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিক আছেন। আমরা দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি এবং আমি উনাদের দুজনের নামই ক্রিকেট বোর্ড থেকে বলেছি। যখনই তারা একসাথে যাবেন তাদের দুজনের নাম দুটো যেন উল্লেখ করা হয়। তারা পেশাদার দায়িত্ব পালনে গেছেন এবং ক্রিকেট বোর্ড মনে করেন আমাদের এখানেও একটা দায়িত্ব আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরও যেন একসাথে বের করে নিরাপদ কোনো জায়গায় খেলোয়াড়রা যখন যাবে তখন যেন যেতে পারে।’
