Logo
Logo
×

খেলা

সাত গোলের থ্রিলারে রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপায় এক হাত বার্সার

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

সাত গোলের থ্রিলারে রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপায় এক হাত বার্সার

চলতি মৌসুমে এল ক্লাসিকো মানেই যেন গোলের বান ডাকবে, রোমাঞ্চ ছড়াবে একরাশ এটা নিশ্চিত। আগের তিন ম্যাচের ধারবাহিকতা মৌসুমের চতুর্থ ও শেষ ক্লাসিকোতেও বজায় রইল। গোল হলো গুণে গুণে সাতটি, দুটো গোল বাতিল না হলে সংখ্যাটা নয়ে উন্নীত হতো রীতিমতো! 

গোলের রোমাঞ্চ শেষে আগের তিন ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছিল বার্সেলোনা। চতুর্থ ক্লাসিকোয় সে ধারাবাহিকতাও বজায় রইল। ধারাবাহিকতা আরও এক জায়গায় টিকে আছে, আগের দুই ক্লাসিকোয় জিতে ট্রফিজয়ের তৃপ্তি সঙ্গী হয়েছিল বার্সার। ৭ গোলের থ্রিলারে ৪-৩ ব্যবধানের এই জয়ের পর লা লিগার শিরোপাতেও এক হাত দিয়ে ফেলেছে কাতালানরা।

এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে বার্সেলোনাই অনেক ভালো দল ছিল। শুধু এই ক্লাসিকোতেই না, পুরো মৌসুম জুড়েই। হান্সি ফ্লিকের তরুণ দল পুরো মৌসুম জুড়ে খেলেছে রোমাঞ্চকর, দুঃসাহসী ফুটবল। আর এই ফুটবলের ফলেই লা লিগার শিরোপা এখন বার্সার। 

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যখন শুরুতে ১৫ মিনিটেই দুই গোল খেয়ে বসে দল, তখন গ্যালারি থমকেই গিয়েছিল। কিন্তু এরপরই বার্সা ফিরে এসেছে ম্যাচে, যেভাবে তারা পুরো মৌসুমজুড়ে একের পর এক কামব্যাক করে গেছে। এমবাপে হ্যাটট্রিক করলেও, বার্সেলোনা গোল করেছে তার চেয়ে বেশি। আর সেটাই পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছে।

এই মৌসুমে চারবার মুখোমুখি হয়েছে বার্সা ও মাদ্রিদ। সবগুলো ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা। মোট গোল করেছে ১৬টি। প্রথম ক্লাসিকোটা দিয়েই লিগ যাত্রা শুরু হয়েছিল, দ্বিতীয়টিতে সুপার কাপ জয়, তৃতীয় ম্যাচে কোপা দেল রে, আর শেষ ক্লাসিকোতে শিরোপা একরকম নিশ্চিত করে বার্সা। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও এরিক গার্সিয়া, লামিন ইয়ামাল আর রাফিনিয়ার দুই গোলে আবার জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে অকস্মাৎ বিদায়ের ব্যথাটা কিছুটা হলেও কমল তাতে।

খেলার শুরুটা ছিল রীতিমতো নাটকীয়। মাত্র তিন মিনিটেই পাউ কুবার্সি ভুল পাস দেন সেজনি-কে, যেটা আটকাতে গিয়ে এমবাপের পায়ে পেনাল্টি উপহার দেন গোলরক্ষক। এমবাপে গোল করে মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন। এরপর ফেদেরিকো ভালভার্দের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান লামিন, কিন্তু রেফারি কিছুই দেননি বার্সার পক্ষে। বরং মাদ্রিদ পাল্টা আক্রমণে যায়, ভিনিসিয়ুসের পাসে এমবাপে আবার গোল করেন।

তখন মনে হচ্ছিল বার্সেলোনা বুঝি হেরেই বসল! কিন্তু তখনই দলটা উঠে দাঁড়ায়। কোর্তোয়া একের পর এক সেভ করলেও গার্সিয়ার হেডে প্রথম গোল পায় বার্সা। এরপর লামিন ইয়ামাল তার চিরচেনা স্টাইলে ম্যাচে সমতায় ফেরান বার্সাকে। এরপর পেদ্রি বল বাড়ান রাফিনিয়াকে, তিনিও গোল করেন। ম্যাচের আগে মাদ্রিদ এগিয়ে থাকলেও এখন পিছিয়ে পড়ে। বিরতির আগেই ফেরান ও রাফিনিয়ার পাসে আসে আরেকটি গোল। ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লামিনের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর কিছুটা মাদ্রিদ ম্যাচে ফেরে, লুকা মদ্রিচ ও ব্রাহিম দিয়াস নামার পর কিছু দারুণ আক্রমণ হয়। মদ্রিচের পাসে থেকেই এমবাপের হ্যাটট্রিক গোলটা আসে। তার বাড়ানো বল ভিনিসিয়ুস হয়ে আসে এমবাপের পায়ে, ফাঁকা জালে বলটা জড়াতে ভুল করেননি তিনি। তখন মনে হচ্ছিল হয়তো ম্যাচটা ঘুরে যেতে পারে। কিন্তু বার্সা আবার ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ আনে। শেষ দিকে ফেরমিন একটি গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডে।

চার ক্লাসিকো, চার জয় আর লা লিগা শিরোপা – এই মৌসুমে বার্সেলোনার গল্পটা ঠিক এমনই। দুর্দান্ত ফুটবলে মাদ্রিদকে আরও এক বার পরাস্ত করল তারা। মৌসুমের শেষ দিকে এসে সবাই বুঝে গেছে, এই দলটা শুধু ভবিষ্যতের জন্য না, এখনই সেরা।

রিয়াল মাদ্রিদ বার্সেলোনা এল ক্লাসিকো লা লিগা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম