কোহলিকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘পারফর্ম করলে তবে দলে থাকো’— সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মে মাসের ৭ তারিখ, মুম্বাইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। দলের পরিকল্পনায় নেই, তেতো সত্য সরাসরি শোনানো হয় রোহিত শর্মাকে। ভবিষৎ নিয়ে ভাবতে বলা হয় বিরাট কোহলিকেও। দেশটির একাধিক মিডিয়া বিসিসিআইয়ের সূত্রে জানিয়েছে, সেদিনই মূলত দুই সিনিয়রকে চরম সত্যটা জানিয়ে দেয় বোর্ড।
ওইদিনই রোহিত ঘোষণা দেন, ‘সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছেড়ে দিচ্ছি।’ তার চারদিনের মাথায় আজ কোহলি শুনিয়েছেন শেষের কথা। কোহলি যে টেস্ট ছাড়বেন, সেই জল্পনা অনেক আগের। তবে রোহিতের অবসরের পর কালক্ষেপন করেননি। বোর্ডকে সিদ্ধান্ত জানান। সতীর্থদেরও বলে দেন। তবে কথা ওঠে, কোহলিকে মানাতে অনুরোধ করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
এমন দাবিকে মিথ্যা বলছে ভারতের গণমাধ্যম জাগরণ। পত্রিকাটি বোর্ডের সূত্রের মারফত জানিয়েছে, ঘটনাটি এমন ছিল না মোটেও। কোহলিকে বরং সরাসরি বিসিসিআই জানিয়ে দেয়, ‘রান করতে পারলে দলে থাকবে, নয়তো না।’ তবে মাঝে খবর হয় যে, জুনে ইংল্যান্ড সফরে সিনিয়র হিসেবে কোহলিকে চায় বোর্ড। রোহিতের পর কোহলি চলে গেলে, দ্রুত একটা সংকটে পড়বে দল। সেটি চায় না ভারতের ক্রিকেট।

তবে জাগরণ বলছে ভিন্ন কথা, পত্রিকাটিকে একজন বোর্ড কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘বিসিসিআই কাউকে অনুরোধ করে না। একজন খেলোয়াড়ের সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত পছন্দ। আমরা এতে হস্তক্ষেপ করি না।’ ওই সূত্রই জানিয়েছে, কোহলিকে অনুরোধ নয়। সত্যটা জানানো হয়েছিল। বোর্ড চাচ্ছে নতুন দল। অভিজ্ঞ কিন্তু পারফর্ম করতে পারছে না, এমন খেলোয়াড় তারা চায়নি।
দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার জন্যই মূলত রোহিত-কোহলিকে বার্তা দিয়েছে বিসিসিআই। একই বার্তা গেছে বাকি সদস্যের দিকেও। মোদ্দাকথা, গত বছরের বাজে পারফর্মের খেসারত চুকাতে হয়েছে রোহিত-কোহলিদের। সেবার বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ঘরের মাঠে একাধিক সিরিজ হারে ভারত। সাদা পোশাকে ওই সাফল্যহীনতার পর বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে তারা নতুন কাউকে দিয়ে চালাবে, যারা অনেক দিন দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
কোহলির সময়টাও ভালো যাচ্ছিল না। অস্ট্রেলিয়া সফরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন একটি। কিন্তু ওই সিরিজে বাকি সিরিজে করেছিলেন মোটে ৯০ রান। ব্যাটিং গড় ছিল ২৩ এর থেকে একটু বেশি। যা নিয়েই সমালোচনা। কোহলি অবশেষে ১৪ বছরের যাত্রা থামিয়েই দিয়েছেন। আজ নিয়েছেন কঠিন এক সিদ্ধান্ত।
