পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে রেফারিকে লাঞ্ছিত করেছেন সিটি ক্লাবের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এমন ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছেন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার কর্তারা। 

সূত্রে জানা গেছে, ক্লাবটিকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বাফুফে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের মাঠে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি লিগের কয়েকটি ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। রেফারিদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে। সবশেষ ঘটনা গত রোববারের। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সেদিন মুখোমুখি হয় সিটি ক্লাব ও বাফুফে এলিট একাডেমি। ম্যাচ শেষে রেফারি জিএম চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে সিটি ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। 

মাঠে তাকে প্রহার করেন সিটি ক্লাবের একাধিক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা। প্রথম হামলার পর তিনি মাঠে লুটিয়ে পড়লে পরে আবারও আক্রমণের শিকার হন। ওই ঘটনায় অবশেষে কড়া অবস্থান নিল বাফুফে। অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।

সূত্র আরও জানায়, সিটি ক্লাবের গোলকিপার কোচ মো. শাহ আলম টুটুল প্রথমে রেফারিকে আঘাত করেন এবং অন্যদের উসকে দেন। এছাড়া খেলোয়াড় মাসুম মিয়া (জার্সি-৯৯), মিজানুর রহমান (জার্সি-৮), বলবয় মো. ইউনুস, আশরাফুল ইসলামসহ (জার্সি-১) খেলোয়াড়দের রেফারির ওপর আক্রমণে উদ্ধুদ্ধ করেন তিনি। দর্শক পরিচয়ে শাহ আলম রেফারি ও সহকারী রেফারিকে মারধরের সঙ্গে জড়িত বলে শোকজ নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে।