ইয়ামাল জাদুতে ডার্বি জিতে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৪:২৫ এএম
গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে মাতলেন ইয়ামাল/ছবি- সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এ যেন হতেই হতো!
লামিন ইয়ামাল পুরো মৌসুমজুড়ে যেমনটা খেলেছেন, বার্সেলোনার সব সাফল্যে যেমন ছাপ রেখেছেন, তাতে শিরোপা নির্ধারণী দিনেও আলো কেড়ে না নিলে ব্যাপারটা যেন জমছিল না।
তিনি তা হতে দিলেনও না। গোল করলেন, করালেন, আলো কেড়ে নিলেন আবারও। তার জাদুতে ভর করেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিয়লের মাঠে বার্সা জয় তুলে নিল ২-০ গোলে। তাতে ২৮তম লিগ শিরোপাটাও এসে ধরা দিল ক্লাবটার কাছে।
এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮৬, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ, ফলে আর কোনোভাবেই ফ্লিকের দলকে ধরা সম্ভব নয়। এই জয়ের ফলে বার্সেলোনা ঘরে তুলল মৌসুমের ঘরোয়া ট্রেবলটা। জানুয়ারিতে সৌদি আরবে তারা স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিল, এরপর মে মাসের শুরুতে কোপা দেল রেও বগলদাবা করেছিল রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে। এমন সফল মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই অধরা রয়ে গেল এই তরুণ দলটির।
২০২৩ সালেও ঠিক এই এস্পানিয়লের মাঠেই লিগ শিরোপা জিতেছিল বার্সা। তখন ক্ষুব্ধ এস্পানিয়ল সমর্থকেরা মাঠে নেমে বার্সার খেলোয়াড়দের তাড়া করেছিল। এবার অবশ্য ভিন্ন চিত্র, ম্যাচ শেষে মাঠে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয় বার্সা খেলোয়াড়দের ওপর। তবে উৎসবের মুহূর্তে দ্রুত টানেলের দিকে হাঁটা দেন তারা।
বার্সাকে অবশ্য ম্যাচে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইয়ামাল ডান পাশ থেকে ভেতরে এসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন, যা স্পেনের হয়ে ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করা তার গোলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। এরপর ৯৫ মিনিটে তার পাস থেকে ফেরমিন লোপেজের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।
বার্সার জন্য ম্যাচটা সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে বলের দখল বেশি থাকলেও কোনো পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। বরং এস্পানিয়ল সুযোগ পেয়েছিল পাল্টা আক্রমণে, যেখানে পুয়াদোর শট দুর্দান্তভাবে ঠেকান শেজনি।
শেষদিকে এস্পানিয়ল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ইয়ামালের পেটে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও অবশ্য স্বাগতিকরা বার্সাকে চেপে ধরেছিল, কিন্তু লোপেজের গোলেই সব আশা শেষ হয়।
এই জয়েই গত ছয় বছরে বার্সেলোনার দ্বিতীয় লিগ শিরোপা নিশ্চিত হলো। এবার অবশ্য তাদের এই সাফল্যের পেছনে বড় অবদান তরুণদের, বিশেষ করে ইয়ামালের। মৌসুমে ৮টি লিগ গোল করা এই উইঙ্গার বড় ম্যাচে গোল করতে ভালোবাসেন—রিয়াল ও আতলেতিকোর বিপক্ষেও গোল করেছেন। শিরোপা নিশ্চিত করার মঞ্চেও আলো কেড়ে নিতে ভুললেন না তিনি!

-680dd01c25d37.jpg)

