Logo
Logo
×

খেলা

কষ্টেসৃষ্টে আমিরাতকে হারিয়ে যে ২ উন্নতি চাইলেন লিটন

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ০৯:২৪ এএম

কষ্টেসৃষ্টে আমিরাতকে হারিয়ে যে ২ উন্নতি চাইলেন লিটন

আমিরাতকে হারিয়ে স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে/ ছবি-আমিরাত ক্রিকেট

শারজায়তে সংযুক্ত আরব আমিরাত রীতিমতো হুমকিই দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল একটু এদিক সেদিক হলে স্বাগতিকরা ১৯২ রান তাড়া করে ম্যাচটা জিতেও যেতে পারে। তবে শেষমেশ ২৭ রানের জয় তুলে নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেছে। 

তবে এমন জয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাসের অস্বস্তিটা স্পষ্ট। এভাবে যে হচ্ছে না, সেটাও সাফ জানিয়ে দিলেন। একাধিক জায়গায় উন্নতিও চাইলেন। 

বাংলাদেশের ইনিংসের দিকে তাকান। পারভেজ হোসেন ইমন ৫৪ বলে ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। এটিই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। তার ইনিংসে ভর করেই ১৩টি ছক্কার রেকর্ড গড়ে ১৯১ রান তোলে বাংলাদেশ।

তবে আলোর নিচের অন্ধকারের দিকটায় দেখা যাক। পারভেজ হোসেন ইমনের ওই সেঞ্চুরিটা যদি একপাশে রাখেন, তাহলে দেখবেন দলের কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস মোটে ২০ রানের, সেটা তাওহীদ হৃদয়ের! ইমনের সেঞ্চুরির পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ‘মিস্টার এক্সট্রা’র কাছ থেকে। আমিরাতের বোলাররা ২১ রান দিয়েছেন অতিরিক্ত খাতে। এ খাতও বাদ দিলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান করেছেন ৬৬ বলে ৭০। দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে এমন ব্যাটিং নিশ্চয়ই স্বস্তির কিছু নয়! 

ম্যাচ শেষে লিটন দাস অকপটে স্বীকার করলেন বিষয়টা, ‘উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। আমি মনে করি, ইমন যেভাবে ব্যাট করেছে, তা অসাধারণ ছিল। আমাদের ভালোভাবে ইনিংস শেষ করতে হবে। কারণ, শেষ দিকে তিনটি উইকেট পড়ার পর আমরা রান তুলতে পারিনি।’

বাংলাদেশের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল আমিরাত। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩৯ বলে ৫৪ আর রাহুল চোপড়া ২২ বলে ৩৫ রান করেন। এরপর আসিফ খান ২১ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংসে এক পর্যায়ে জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছিল স্বাগতিকদের। 

তবে সেখান থেকে বাংলাদেশ যেভাবে ফিরে এসেছে, তাতে বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন লিটন। তবে উন্নতির জায়গা যে আছে, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। লিটন বলেন, ‘বোলাররা জানে কীভাবে ফিরে আসতে হয়, তবে আমিরাতের ব্যাটাররাও ভালো ব্যাট করেছে। মাঝের ওভারে যেভাবে ব্যাট করেছে ওরা, তাতে ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমাদের বোলিংয়েও মনোযোগটা দিতে হবে। এই মাঠে কীভাবে বল করতে হয় সেটা শিখতে হবে। আমরা শেষ ওভারে ভালো করতে পারিনি। বোলিংয়ে আরও উন্নতি দরকার।’

তবে ভালো দিকও ছিল। হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট করেন আসিফ খানকে। তানজিম হাসান সাকিব ২২ রান খরচায় পেয়েছেন দুই উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সবচেয়ে কিপটে। বোলারদের কেউ নিদেনপক্ষে খালি হাতে ফেরেননি। 

এই জয়টা তাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দলের। লিটনের ভাষায়, ‘নিশ্চয় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। সবাই যেভাবে শান্ত থেকে বল করেছে, সেটা অসাধারণ। মাঝখানে মনে হচ্ছিল ম্যাচ ৫০-৫০, কিন্তু বোলাররা সবাই ভালো করেছে।’

এদিন বাংলাদেশের সমর্থনে মাঠে হাজির ছিলেন প্রবাসী দর্শকরা। তাদের বিষয়টাও উল্লেখ করতে ভুললেন না লিটন। বললেন, ‘যেখানেই খেলি না কেন, আমাদের সমর্থকরা খেলা দেখতে আসে, তাদের এই সমর্থন সত্যিই দারুণ।’

সিরিজের শেষ ম্যাচ সোমবার, একই ভেন্যুতে। বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন সিরিজ জয় নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিটন দাস বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি সিরিজ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম