ফাইনালে উঠে উচ্ছ্বাস বাংলাদেশ দলের, আজ ফাইনাল শেষেও নিশ্চয়ই এমনই উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে চাইবে দলটা/বাফুফে
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ খেলে ফাইনালে চলে এসেছে বাংলাদেশ। এবার স্বপ্ন মুঠোয় ভরবে কি না, জানা যাবে আজ। অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচ। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। যারা আবার টুর্নামেন্টের স্বাগতিকও। তবে তাদের বিপক্ষেও বাংলাদেশ থাকছে নির্ভারই। স্বাগতিকদের হারিয়ে প্রতিযোগিতার শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চান নাজমুল হুদা ও দল।
শিরোপার দাবিদার বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি শেষ মহারণে। বাংলাদেশ মালদ্বীপের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র এবং ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে এ-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে ওঠে। সেমিফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে লাল-সবুজের যুবারা।
অন্যদিকে ভারত এই প্রতিযোগিতার শুরু থেকে বেশ দাপট দেখিয়ে এসেছে ফাইনালে। বি-গ্রুপে শ্রীলংকাকে ৮-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু। এরপর নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় স্বাগতিকরা। এরপর সেমিফাইনালেও মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় দলটা। চলে আসে ফাইনালে।
স্বপ্ন পূরণের শেষ সিঁড়িতে পা রেখে খালি হাতে দেশে ফিরতে চায় না বাংলাদেশ। জয়ের জন্যই মাঠে নামবে বাংলাদেশ, জানালেন কোচ গোলাম রব্বানী।
শনিবার প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ছেলেরা প্রত্যেকটি ম্যাচেই ভালো খেলেছে। তারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছে এখান থেকে। ওরা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। প্রস্তুত শেষ লড়াইয়ের জন্য।’
অধিনায়ক নাজমুল হুদা বলেন, ‘ফাইনাল সব সময় উত্তেজনার হয়। দুদলই চাইবে জিততে। আমরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য এখানে এসেছি। সেটা করেই ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’
এই ভারতের বিপক্ষে জেতাটা সহজ নয়। পুরো টুর্নামেন্টে দলটা করেছে ১৫ গোল। এর বিপরীতে হজম করেনি এক গোলও। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে ৭ গোল করেছে, হজম করেছে ৩ গোল। দুই দলের শক্তিসামর্থ্যের আন্দাজও তাই মিলছে এসব তথ্য থেকেই।
তবে অধিনায়ক নাজমুলের অভিমত, এই ম্যাচ ভারতের জন্যও কঠিনই হবে। ফলে তার দলের জন্য বাড়তি সমস্যা নিয়ে হাজির হবে না এই ফাইনাল। তার কথা, ‘এই ম্যাচ দুদলের জন্যই কঠিন। আমরা টুর্নামেন্টে প্রথম ভারতের মুখোমুখি হচ্ছি। আশা করি, সমস্যা হবে না।’
