ছোটবেলায় চাচার কাঁধে চড়া শমিতের কাঁধে এবার বাংলাদেশের প্রত্যাশা
পারভেজ আলম চৌধুরী
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৩০ এএম
শমিত সোম/ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ছোটবেলায় চাচার কাঁধে চড়া শমিতের কাঁধে এবার বাংলাদেশের প্রত্যাশা
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রোববার ফর্জ এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের পুরোটা সময় ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলেছেন শমিত সোম। পরেরদিন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উড়াল দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান ফুটবলার। আজ ভোর ৫টায় তার পৌঁছে গেছেন ঢাকায়। বৃহস্পতিবার যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
ইতালি প্রবাসী ফাহামেদুল ইসলাম ও ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী আগেই এসেছেন। এবার আসছেন শমিত। ভুটানের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে প্রীতি ম্যাচে শমিতের অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় শমিত।
বাংলাদেশের মাঝমাঠে এদিনই প্রথম দুই প্রবাসী সেনানী হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের যুগল চাক্ষুষ করবে নবরূপে দ্বারোদ্ঘাটন হওয়া জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শক। ছোট পর্দায় সেই দ্বৈরথ উপভোগ করবে এই বদ্বীপের অসংখ্য-অজস্র ফুটবল-বুভুক্ষু।
সেদিন বাংলাদেশের ‘চায়ের রাজধানী’ শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ উত্তরসুর এলাকার বড় বাজারে প্রজেক্টর লাগিয়ে বাংলাদেশের খেলা দেখার আয়োজন করবেন শমিতের চাচা মোহন সোম। ঢাকায় ভাতিজাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ফিরে যাবেন শ্রীমঙ্গল। এলাকাবাসীর সঙ্গে খেলা উপভোগ করবেন মোহন বাবু। তার দৃষ্টিতে টিভিতে খেলা দেখায় আনন্দ বেশি।
ছোটবেলায় শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে এলে যার কাঁধে উঠত দুষ্টু সোম। সে শমিতের কাঁধে এবার বাংলাদেশের প্রত্যাশার ভার।
মোহন বাবু এলাকাবাসীকে শমিতের বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচটা দেখাতে চান। দেখাতে চান তার ভাতিজার খেলা, যিনি কানাডিয়ান লিগে নিজের শেষ ম্যাচে ৩৬টি পাসের মধ্যে ৩৩টি নিখুঁত পাস দিয়েছেন। কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
শমিতের জন্ম কানাডার আলবার্টা প্রদেশের এডমন্টনে। দুই বছর আগে বেড়াতে এসেছিলেন তিনদিকে পাহাড় আর একদিকে হাওড়বেষ্টিত সবুজ শ্যামলিমা শ্রীমঙ্গলে। কানাডায় বাস্কেটবল ও ফুটবল খেলে বেড়ে ওঠা মিডফিল্ডার শমিত টনি ক্রুস, সেস ফ্যাব্রিগাস ও ইয়াইয়া তোরের ভক্ত। এক সপ্তাহ আগে ভাতিজার সঙ্গে কথালাপ হয়েছে চাচা মোহন সোমের। এবার টরেন্টো-ঢাকা-টরেন্টো আকাশপথ ভ্রমণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে ২৭ বছরের শমিতের।
১৫ জুন কানাডিয়ান লিগে তার ক্লাবের পরবর্তী ম্যাচ। তাই ১০ জুন ঢাকায় খেলেই পরদিন কানাডার ফিরতি ফ্লাইট ধরতে হবে তাকে। তবে শমিত জেঠুকে (চাচা) কথা দিয়েছেন, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে আবার আসবেন। তখন তার দুই মাসের ছুটি। শ্রীমঙ্গলে ছুটে যাবেন সবুজের সান্নিধ্যে। পিতৃভূমির সুঘ্রাণ নেবেন। আঁশবিহীন মাছ উঠবে তার পাতে। অবসর জীবন কাটানো মোহন বাবু বাজার থেকে থলিভর্তি টাটকা শিং মাছ, পাবদা মাছ কিনে আনবেন ভাতিজার জন্য।
