ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের এই কীর্তি সম্পর্কে বেখবর ছিলেন। শনিবার গল টেস্ট ড্রয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার পর তাকে যখন মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এই নজির গড়েছেন তিনি, নাজমুলের উত্তর, ‘আমি জানতাম না।’ তবে তার ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছেন।
অধিনায়কের প্রতিক্রয়া, ‘দারুণ প্রত্যাবর্তন। মুশি (মুশফিকুর রহিম) ভাই আমার সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এই সিরিজের জন্য আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। আমরা নিজেদের মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়েছি এই ম্যাচে।’
ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে কী একটু বেশি সময় নেওয়া হয়নি? নাজুলের উত্তর, ‘হ্যাঁ। হঠাৎ বৃষ্টির দরুন পরিকল্পনা বদলাতে হয়। এতে আমাদর হাত নেই।’ তার সংযোজন, ‘ডিক্লেয়ার করার পর তাইজুল ও নাঈম খুবই ভালো বালিং করেছে। এই কন্ডিশনে প্রথম ইনিংস দারুণ বোলিং করেছে নাঈম।’
প্রথম ইনিংসে ১৪৮। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫*। ড্র হওয়া গল টেস্টের ম্যাচসেরা নাজমুল একটি বিরল কীর্তি গড়েছেন শনিবার। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে এক টেস্টে পিঠাপিঠি সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ২৬ বছর বয়সি এই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসাবে দুবার এক টেস্টের দুই ইনিংসে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন। ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম এক ম্যাচে পরপর দুটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুমিনুল হক। ২০১৮ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে এই নজির তৈরি করেছিলেন মুমিনুল। নাজমুল এক টেস্টে জোড়া শতক হাঁকানো ১৫তম ব্যাটার। আর অধিনায়ক হিসাবে বিদেশের মাটিতে এক টেস্টে পিঠাপিঠি সেঞ্চুরি করা অষ্টম ব্যাটার তিনি।
নাজমুলই প্রথম ব্যাটার যিনি শ্রীলংকার মাটিতে সফরকারী অধিনায়ক হিসাবে প্রথম পরপর দুটি সেঞ্চুরি করলেন এক টেস্টে। সুনীল গাভাস্কার, রিকি পন্টিং ও ডেভিড ওয়ার্নারের তিন টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করার কীর্তি রয়েছে।
