|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এবং বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় মঞ্চে থাকলেন। মঞ্চে উঠলেন অভিষেক টেস্টে প্রথম বল খেলা ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, প্রথম বল করা হাসিবুল হাসান শান্ত।
ছিলেন না প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সেই সময়ের সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক। ১৬ সদস্যের দলের পাঁচ ক্রিকেটার ছিলেন না টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিসিবি আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে।
সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ ছিল না। শুধু প্রথম টেস্টের কয়েকজন খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারের সঙ্গে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তিনজন। বাকিরা সবাই সাংবাদিক ও বিসিবির কর্মকর্তা। নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র অধিনায়ক নিগার সুলতানা ছিলেন। অপূর্ণতার মধ্যে রজতজয়ন্তী পালন করলো বিসিবি। এক সংবাদিক বলেন, কলম্বো টেস্টের মতো অনুষ্ঠানও হতাশ করলো।
বৃহস্পতিবার মিরপুরস্টেডিয়ামের নর্থস্ট্যান্ডে বিকাল ৪টায় শুরু হয় দুই ঘন্টার সাদামাঠা অনুষ্ঠান। দেওয়া হয়েছে নতুন কিছু ঘোষণা। বিসিবিকে চারটি ছোট ছোট অংশে রূপ দেওয়ার ঘোষণা এলো। যার অন্যতম আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। বিসিবি অনার্স বোর্ড চালু করেছে কাল থেকে। সেখানে বাংলাদেশের টেস্ট খেলুড়েদের নাম থাকবে। এছাড়া ক্রীড়া মন্ত্রনালয় দেশের একশো স্কুলে উন্নতমানের উইকেট তৈরি করে দেবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসিবি সভাপতি এবং এরপর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বক্তব্য দেন। উপস্থাপক মাজহার উদ্দিন অমি ছিলেন অভিষেক টেস্টের বলবয়। তিনি একেকজন ক্রিকেটারকে ডেকে নেন মঞ্চে। প্রথম টেস্টের খেলোয়াড় ও কোচ, ম্যানেজার মঞ্চের পাশে থাকা জার্সিতে অটোগ্রাফ দেন। এরপর তাদের হাতে ফুল ও ব্লেজার পরিয়ে দেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
প্রত্যেকে প্রথম টেস্টের স্মৃতিচারণ করেন। সব মিলে ক্রিকেটার, কোচ ও ম্যানেজার একসঙ্গে তিনবার মঞ্চে ওঠেন। তাদের গ্রুপ ছবি, কেক কাটা এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) স্মারক উপহার দেয় টেস্ট দলকে। বিএসজেএ’র দেওয়া স্মারকে কাঠের ফ্রেমের মধ্যে ক্রিকেটারদের ফুটিয়ে তোলা হয়।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখানে আমরা যারা আছি প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারবো। সবার কাছে দাবি, আপানারা আমাদের সাহায্য করবেন। যেন আমরা দ্রুত একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ২৬ দিন বোর্ডে এসেছি। একদিনের মধ্যে কয়েকটি প্রোগ্রাম নিয়ে এগোচ্ছি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবদিক থেকে সাহায্য করছে। এখানে যারা আজ উপস্থিত নেই তাদেরও মনে করছি। প্রথম টেস্টে যারা ছিলেন তারা সবাই নিজেদের নিয়ে গর্ব করার মতো। প্রতিটি প্রথমের ছিলাম আমরা। প্রথম উন্মাদনা, প্রথম হতাশা, প্রথম জয় উদযাপন সবই একেকটা আলাদা ব্যাপার। আপনারা সব সময় আমাদের সাথে থাকবেন। আমাদের সাহায্য করবেন।’ রাজতৈক কারণে আশরাফুল হক-সাবের হোসেন চৌধুরীরা আমন্ত্রণ পাননি।
