Logo
Logo
×

খেলা

মেয়ে সানার প্রেম নিয়ে যা বললেন সৌরভ গাঙ্গুলী

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

মেয়ে সানার প্রেম নিয়ে যা বললেন সৌরভ গাঙ্গুলী

ফাইল ছবি

১৯৯৬ সালে গোপনে রেজিস্ট্রি করেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও ডোনা গাঙ্গুলী। প্রথমে দুই পরিবারের অমত থাকলেও পরে এ সম্পর্কে তারা মত দেয়। এরপর ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের পরিবার দুজনের বিয়ে দেন। পরে ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে জন্ম দেন কন্যাসন্তান সানা গাঙ্গুলীর।

মা-বাবার একমাত্র মেয়ে সানা বড়ই আদরের। বর্তমানে লন্ডনে কর্মরত ২৪ বছরের সানা। মোটা মাইনের চাকরি করছেন তিনি। মেয়ে বাইরে থাকলেও বাবার কড়া নজর থাকে মেয়ের প্রতি। তা সৌরভের কথাতেই স্পষ্ট বোঝা যায়।

বছর পাঁচ আগের এক ভিডিওতে দেখা যায়, দাদাগিরিতে অভিনেত্রী অদিতি চট্টোপাধ্যায় দাদা সৌরভের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন— ধরুন সানা যদি বিয়ে করতে চায়, তাহলে কী করবেন, অ্য়ারেঞ্জ ম্যারেজ নাকি লাভ ম্যারেজ? তখন মহারাজকন্যার বয়স ছিল মাত্র ১৮।

এর উত্তরে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, সে এখন ১৮, তো আমি বলেছি। আশপাশে যদি কাউকে দেখা যায়, বাবা পেদিয়ে ছত্রাকার করে দেবে। শুনে হেসে ফেলেন সবাই। এখানেও থেমে না থেকে সৌরভ বলেন, বাবা সব করতে পারবে, মেয়ে পারবে না।

বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যলয় ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেছেন সানা গাঙ্গুলী। আপাতত সেখানে একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থায় কাজ করছেন তিনি। ভবিষ্যতে মাস্টার্স করারও ইচ্ছা রয়েছে তার। সানা টুয়েলভ পাশ করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসিতে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলী মেয়ের লন্ডনের পড়াশোনা ও চাকরি নিয়ে জানিয়েছিলেন, উপার্জনের জন্য সানাকে চাকরি করতে পাঠাইনি তো। পাঠিয়েছি নিয়মানুবর্তিতা শেখাব বলে। চাকরি করা মানেই তো নিয়মানুবর্তিতা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা। সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, আর ঘুমাতে যাওয়া। ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা। নিজেকে নিজের দায়িত্বে সামলে চলা। 

লন্ডনে গেলে শুধু সানা নন, তার বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটাতে দেখা যায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে। এমনিতেও সব বয়সিদের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন মহারাজ।

উল্লেখ্য, খুব জলদিই ফ্লোরে যাচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিক। আগামী ২০২৬ সালের শুরুতেই শুটিং করার কথা রয়েছে। দাদার ভূমিকায় রুপালি পর্দায় থাকছেন রাজকুমার রাও। আপাতত জোর কদমে শেষ করা হচ্ছে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম