Logo
Logo
×

খেলা

বিশ্বকাপ খেলতে হলে বাংলাদেশকে যা করতে হবে

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম

বিশ্বকাপ খেলতে হলে বাংলাদেশকে যা করতে হবে

ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো তারা জায়গা করে নিয়েছে নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। এই অর্জন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক অসামান্য অর্জন। এখন লক্ষ্য ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া।

২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপ, যেখান থেকে সরাসরি ৬টি দল খেলবে ২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপে। এছাড়া আরও দুটি দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। মোট আটটি দল বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার দৌড়ে টিকে থাকবে এই প্রতিযোগিতা থেকেই। এই হিসাবে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে খেলতে হলে এশিয়ান কাপে সেরা ছয়ের মধ্যে জায়গা করে নিতে হবে।

এশিয়ান কাপে ১২টি দল অংশ নেবে, যাদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে। তবে যারা গ্রুপে তৃতীয় হবে, তাদের জন্যও থাকবে কোয়ার্টারে ওঠার সুযোগ-শর্ত হলো তিনে থাকা দলগুলোর মধ্যে সেরা দুটি হতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রার বাস্তবতা অনেকটাই কাছে চলে আসবে। কারণ, কোয়ার্টার ফাইনালে জয়লাভ করা চারটি দল সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে।

বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে হারে, তবু আশা শেষ হয়ে যাবে না। কারণ, পরবর্তী ধাপে থাকবে দুটি প্লে-ইন ম্যাচ। সেখানে অংশ নেবে কোয়ার্টারে হারা চারটি দল। এই প্লে-ইনে যারা জিতবে, তারাও যাবে সরাসরি বিশ্বকাপে। আর যারা হেরে যাবে, তারা পাবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে খেলার সুযোগ। সেখানেও টিকে থাকলে বিশ্বকাপের দরজা খুলে যেতে পারে।

এই কঠিন পথচলায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের মোকাবেলা করা। ২৯ জুলাই সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের ড্র। সেখানে ১২টি দলকে চারটি পটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি পটে রয়েছে তিনটি করে দল। র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ পটে, যেখানে রয়েছে ভারত ও বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসা একটি দল। 

প্রথম পটে রয়েছে শক্তিশালী দলগুলো-অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং উত্তর কোরিয়া। দ্বিতীয় পটে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। তৃতীয় পটে রয়েছে ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তান। এ থেকেই ধারণা করা যায়, বাংলাদেশের গ্রুপে পড়তে পারে অন্তত দুটি শক্তিশালী দল, যাদের বিরুদ্ধে পয়েন্ট পাওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এশিয়ান কাপের প্রতিটি ম্যাচই তাই হয়ে উঠবে অগ্নিপরীক্ষা। শুধু বিশ্বকাপ নয়, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরও এক স্বপ্নের সম্ভাবনা জাগে। এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল পাবে ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ। সেখান থেকে দুটি দল যাবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। একটি প্রতিযোগিতা থেকেই বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক-দুই দিকেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

২০২৬ সালের মার্চে, অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরে ও পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই এশিয়ান কাপ। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম