|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাল্লেকেলের ব্যাটিংসহায়ক উইকেটে বাংলাদেশ নেমেছিল বাড়তি ব্যাটার নিয়ে। একাদশে ছিল ৪ ওপেনারের উপস্থিতি। তবে এরপরও দলের পুঁজিটা খুব একটা বড় হয়নি। ইনিংস শেষ করেছে মোটে ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ফলে শুরুতেই ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালোই হয় তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের। দ্বিতীয় ওভারেই চার মেরে পারভেজ ইঙ্গিত দেন আক্রমণাত্মক মেজাজের। দুই ওপেনারের হাত ধরে পাওয়ার প্লেতে উঠে আসে ৫৩ রান, যেখানে পারভেজের অবদান সবচেয়ে বড়—১৬ বলে ৩৫ রান, ৫টি চার ও ১টি ছয়ে।
তবে এই জুটি বেশিক্ষণ টিকেনি। পঞ্চম ওভারে তানজিদ (১৭ বলে ১৬) ফিরলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর আসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন। লিটন দাস (১১ বলে ৬) এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন ভ্যান্ডারসের গুগলিতে। রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ার্স কল’ বহাল থাকে।
পারভেজ চেষ্টা করেছিলেন ইনিংস গড়ার, কিন্তু তিনিও থিকশানার বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ৩৮ রান করে। ৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৯/৩। বাউন্ডারির খরা দেখা দেয় তখনই—২৭ বল পর মোহাম্মদ নাঈম স্লগ সুইপে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে সেই খরা কাটান।
তাওহিদ হৃদয় বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ রান করে শানাকার বল কাট করতে গিয়ে মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, বাংলাদেশের রানের গতি হারিয়েছে ততই। ১৭তম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান নাঈম শেখ। তবে তার ইনিংস খুব বড় হয়নি এরপরও। ২৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেই ফেরেন তিনি।
১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজ (২৩ বলে ২৯) কাভারে আসালঙ্কার হাতে ক্যাচ দিয়ে তিকশানার শিকার হন। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৫/৫। মিরাজের বিদায়ের পর শেষদিকে ঝড় তোলেন শামীম পাটোয়ারী। ৫ বল খেলেছেন তাতেই হাঁকিয়েছেন দুটো ছক্কা। তাতেই বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে।
