|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বুলাওয়েতে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা ব্যাটে বলে বাজেভাবেই কেটেছে জিম্বাবুয়ের। দ্বিতীয় দিনে নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরার রাস্তা তৈরি করেছিলেন বোলাররা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আবারও ছোটখাট একটা ধস জিম্বাবুয়েকে দুই দিন না যেতেই হারের শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের মাঝপথে ধস নামলেও লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে ড্যারিল মিচেলের ৮০ রানের ইনিংস সফরকারীদেরকে রেখেছে নিরাপদ অবস্থানে।
প্রথম দিন ৯২ রানে অপরাজিত থেকে শুরু করা নিউজিল্যান্ড সকালে দ্রুতই পৌঁছে যায় ১৫৮ রানে। এরপর মাত্র ৪২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় তারা। কিন্তু মিচেল লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের সাথে নিয়ে দলকে তোলে ৩০৭ রানে। এতে ১৫৮ রানের লিড পায় সফরকারীরা।
দিনের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারকেও ফিরিয়ে দেয় তারা। এখনো ১২৭ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
দিনের শুরুতেই দারুণ এক ডেলিভারিতে উইল ইয়াংকে ফেরান ব্লেসিং মুজারাবানি। দিনের প্রথম বলেই ইয়াং একটি শর্ট বল ঠেকাতে গিয়ে তা ফ্লিক করেন শর্ট লেগে থাকা নিক ওয়েলচের দিকে। ওয়েলচ ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেন। যদিও প্রথমে নিশ্চিত ছিলেন না তিনি বলটি পুরোপুরি নিয়েছেন কি না, তবে টিভি আম্পায়ার তা বৈধ বলে ঘোষণা দেন।
ডেভন কনওয়ে তখন সহজভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। ডিসেম্বর ২০২৩ সালের পর আবারও টেস্ট খেলতে নামা হেনরি নিকলস তিন নম্বরে নামেন। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে দেখালেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান।
নিকলস ও কনওয়ে মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন। তখন আবার ফিরিয়ে আসেন মুজারাবানি। তার শর্ট বলে গালিতে থাকা ব্রায়ান বেনেটের হাতে সহজ ক্যাচ দেন নিকলস।
সেই থেকে শুরু নিউজিল্যান্ডের ধস। ৪২ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় তারা। রাচিন রবীন্দ্র স্লিপে সিকান্দার রাজার বলে ধরা পড়েন। দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্যাচ নেন ক্রেইগ আরভিন।
লাঞ্চের পরে চিভাঙ্গা তার পরিশ্রমের ফল পান। কনওয়ে তখন ৮৮ রানে। তিনি একটি আপার কাট করতে গিয়ে গালিতে বেনেটের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর চিভাঙ্গার শর্ট বলে টম ব্লান্ডেল ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন।
মুজারাবানি আবারও শর্ট বলে মাইকেল ব্রেসওয়েলকে ফেরান। উইকেটকিপার তাফাদজওয়া সিগা প্রথমে ভুল বুঝলেও শেষ পর্যন্ত ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেন ফাইন লেগের কাছে। তখন নিউজিল্যান্ড ২০০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে।
মিচেল ও মিচেল স্যান্টনার সপ্তম উইকেটে ৩৩ রান যোগ করে ইনিংস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্যান্টনার ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর মিচেল আর নাথান স্মিথ মিলে ৬১ রান যোগ করেন। স্মিথ ৭৯ বল খেলে ২২ রান করেন, এর মধ্যে দুইবার শরীরেও আঘাত পান। পরে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ম্যাট হেনরি দ্রুত ফিরে যান। ওদিকে চোট পেয়ে ফেরা স্মিথও আর মাঠে ফেরেননি। ফলে মিচেলকে ঝুঁকি নিয়ে খেলতে হয়। নিউম্যান ন্যামহুরির এক বল স্কুপ করতে গিয়ে স্টাম্প হারান তিনি। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ড আবারও ম্যাচে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে ফেলে।
এরপর হেনরি ও'রোর্কের বোলিংয়ে বেন কারান ও বেনেটকে আউট করে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। দিন শেষে জিম্বাবুয়ে এখনো ১২৭ রানে পিছিয়ে।
