কেন টেস্টে ব্যর্থ পাকিস্তান, কারণ জানালেন আফ্রিদি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি টেস্ট ক্রিকেটে তার দেশের পতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। এর কারণ কী তাও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় একটি ক্রীড়া মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, তরুণ খেলোয়াড়দের তাড়াহুড়ো করে জাতীয় দলে তুলে আনা হচ্ছে। বিশেষ করে পিএসএল-এর মতো স্বল্প ফরম্যাটে ভালো পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
আফ্রিদি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে যেখানে, সেটা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে খেলোয়াড় নেওয়া হচ্ছে এখন। কখনো কখনো পিএসএলে এক-দুইটি ভালো ইনিংস খেললেই তাদের বেছে নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে খেলা এত সহজ হওয়া উচিত নয়। আগে ঘরোয়া ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’
আফ্রিদি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উপরে উঠতে হবে। এর মধ্যে পাকিস্তান এ (শাহিনস) দলে খেলার ধাপও থাকা উচিত। তার ভাষায়, ‘জাতীয় দলে ওঠার পথ কঠিন হওয়া উচিত, যাতে খেলোয়াড়রা পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করার মূল্য বোঝে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন ফরম্যাটে উন্নতি চাইলে আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে হবে। নিচের স্তরে ভালো কোচ ও মেন্টর আনতে হবে এবং শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।’
শীর্ষ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তান কম টেস্ট খেলে। দুই বা তিন ম্যাচের সংক্ষিপ্ত সিরিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৯–২০২১) পাকিস্তান ১২ ম্যাচ খেলে পঞ্চম হয়। পরের আসরে (২০২১–২০২৩) ১৪ ম্যাচ খেলে সপ্তম স্থানে নামে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩–২০২৫ আসরে তারা আবারও ১৪ টেস্ট খেলেছে, জিতেছে মাত্র পাঁচটিতে এবং তালিকার একেবারে নিচে ছিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দল একই সময়ে ১৮টির বেশি টেস্ট খেলেছে।
পাকিস্তানের নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু হবে অক্টোবর মাসে, ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এবারের চক্রে তারা ১৩টি টেস্ট খেলবে। সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
