কোচ ছাড়াই সিরিয়ান দলকে হারাল কিংস, নিশ্চিত করল চ্যালেঞ্জ লিগ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম বড় দল কিংস শেষ এক বছর ধরে বেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এএফসির প্রতিযোগিতায় যেখানে এক সময় আঁটঘাঁট বেধে নামত দলটা, সেখানে এবার তাদের ত্রাহি মধুসূদন দশা। ঠিকঠাক প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, দলবদলেও বেশ গরিমসি করেছে… হবেই তো, কোচই যে নেই! একজন কোচ যাও যোগাড় করেছিল দলটা, সেই কোচও ‘ধোঁকা’ দিলেন রীতিমতো।
শেষমেশ দলটাকে কোচ ছাড়াই খেলতে নামতে হয়েছিল। তাও আবার প্রতিপক্ষ ছিল সিরিয়ান দল আল কারামাহ এসসি। তাদের হারিয়ে গ্রুপ পর্বে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জেরই ছিল দলটার জন্য। তবে সব চ্যালেঞ্জ জয় করে কিংস কোচ ছাড়াই চলে গেছে চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপপর্বে। ইম্যানুয়েল সানডের একমাত্র গোলে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
আটবারের সিরিয়ান লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং সাবেক এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও এএফসি কাপের রানার্স-আপ আল-কারামাহকে হারিয়ে কিংস টানা পঞ্চমবারের মতো এএফসি প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে খেলতে যাচ্ছে। এই জয়ের ফলে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রইল কিংস। দিনের অন্য ম্যাচে আবাহনী কিরগিজস্তানের মুরাস ইউনাইটেডের কাছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে।
ম্যাচের আগে কিংস কিছুটা বিপাকে ছিল। মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসান জানান, ব্রাজিলিয়ান কোচ সার্জিও ফারিয়াস দলে যোগ দেবেন এবং কাতারে এএফসি অভিযানে দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু হঠাৎই ইরাকের দুহোক এসসি সোমবার সামাজিক মাধ্যমে তাকে দলে ভেড়ানোর ছবি প্রকাশ করে।
তবুও মাঠে কিংস ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। চার বিদেশি খেলোয়াড়—ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দরিয়েলতন গোমেজ, ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল আগুস্তো, এবং নাইজেরিয়ান জুটি এম্যানুয়েল সানডে ও এম্যানুয়েল টনি—গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ইংল্যান্ড-ভিত্তিক কিউবা মিচেল বদলি হিসেবে কিংসের হয়ে অভিষিক্ত হন।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রসে ডোরিয়েলটনের বাইসাইকেল কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পরই আসে গোল। কর্নার থেকে এম্যানুয়েল টনির বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাকহিলে জালে পাঠান সানডে।
প্রথমার্ধে আল-কারামাহ বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরি করে বেশি কিংস। বিরতির আগে রাফায়েল আগুস্তো একটি সুযোগ পেলেও গোলরক্ষকের হাতে বলটা জমা পড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে সিরিয়ান দলটি আক্রমণে প্রাধান্য পেলেও কিংসের রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি। গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ কয়েকটি চমৎকার সেভ করে দলের লিড ধরে রাখেন। রাকিব হোসেন ও বদলি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শেষ মুহূর্তে সামোদ কাদিরির একটি হেড শ্রাবণ দারুণভাবে বার-এর উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিড ধরে রেখে মাঠ ছাড়ে কিংস।
