ঢাকা আবাহনী ০, ২ মুরাস ইউনাইটেড
শুরুতেই থামল আবাহনীর স্বপ্নযাত্রা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
ছবি: আবাহনী লিমিটেড
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
থেমে গেল আবাহনীর স্বপ্নযাত্রা। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে-অফ ম্যাচে হারল আবাহনী। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে মূলপর্বে ওঠে কিরগিজস্তানের এফসি মুরাস ইউনাইটেড। এএফসিতে অভিষেকেই নিজেদের জাত চেনাল মুরাস।
সৌভাগ্য আবাহনীর। গোলকিপার মিতুল মারমার অসাধারণ কয়েকটি সেভ দলকে বড় হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মিতুলের প্রতিরোধ টেকেনি। আন্দ্রে বাতসুলার ক্রসে বক্সের ফাঁকায় দাঁড়ানো আত আই জুমাসেভের হেডে লক্ষ্যভেদ হয় (১-০)।
কোনো সুযোগই পাননি মিতুল। ৫২ মিনিটে ইগুলভের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে না গেলে তখনই ব্যবধান দ্বিগুণ হতো। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মুরাসের আক্রমণ আবারও আবাহনীর জালে জড়ায়।
ইয়াসিন খানের বাড়ানো পাস ধরতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন আবাহনীর ডিফেন্ডার কামরুল ইসলাম। বল কেড়ে নেওয়া জুমায়েভের শট রুখতে ব্যর্থ হন মিতুল (২-০)।
দুই মৌসুম পর এএফসি আসরে ফিরেছে ঢাকা আবাহনী। ঘরের মাঠে ম্যাচটি নীল-হলুদ শিবিরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ছিল। শক্তিশালী কিরগিজস্তানের মুরাসের কাছে হেরে শুরুতেই ধাক্কা খেল। এক সময়কার লাখ-কোটি সমর্থকের দল আবাহনীর ম্যাচে হাতেগোনা দর্শক উপস্থিত ছিল।
যদিও নানা সংকটে থাকা দলটি তেমন প্রচার প্রচারণা করতে পারেনি। ম্যাচের টিকিট ছেড়েছিল মাত্র তিনদিন আগে। অনলাইনে টিকিট দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। ক্লাব কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা ছিল টিকিট বিক্রি থেকে ভালো অঙ্কের অর্থ আয় হবে।
বাংলাদেশে ফুটবলের মার্কেটিং সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ঢাকা স্টেডিয়ামে আবাহনী গ্যালারিখ্যাত পশ্চিমপ্রান্তে উপরের অংশে কিছু দর্শক ছিলেন। ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন তারা। গ্যালারির নিচের অংশ ছিল প্রায় পুরোটাই ফাঁকা।
পূর্ব গ্যালারিতে ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন। ভিআইপি গ্যালারির বড় অংশ ফাঁকা ছিল। কিরগিজ পতাকা নিয়ে কয়েকজন মুরাসের সমর্থক ছিলেন।
২০১৯ সালে ঢাকা স্টেডিয়ামের এএফসি কাপের প্লে-অফ ম্যাচে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল-২৫ ক্লাবকে হারিয়েছিল আবাহনী। পাঁচ বছর পর সেই মাঠেই আবার আন্তর্জাতিক ক্লাব ম্যাচ খেলল এক সময়ের দেশসেরা ক্লাব।
ম্যাচের শুরু থেকে মুরাসের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আবাহনী। নিজেদের মাঠে আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশের ক্লাব। সুলেমানে দিয়াবাতে ও শেখ মোরসালিনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু ফুটবলে নবাগত মুরাসের বিপক্ষে কিছুই দেখাতে পারেনি এক সময়ের দেশসেরা ক্লাবটি।
শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলে আবাহনীর রক্ষণ তছনছ করে দেয় মুরাস। নয় মিনিটে কোদজে চাবেলের জোরাল শট ফিস্ট করেন মিতুল মারমা। মিনিটনয়ের পর আবারও আবাহনীকে বাঁচান এই গোলকিপার। আল ইগুলভের কোনাকুনি শট আটকান মিতুল।
মুরাস ইউনাইটেডের আক্রমণ রুখে ইব্রাহিমের পাসে বল নিয়ে বক্সে ঢোকা দিয়াবাতে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তার শট গোলবারের উপর দিয়ে যায়। ফিরতি আক্রমণে মুরাসের কোদজে চাবেলের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিতুল।
৩২ মিনিটে দিয়াবাতের পাসে ইব্রাহিমের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ম্যাচের ৭২ মিনিটে দিয়াবাতের পাসে মোরসালিনের শট কর্নার করেন মুরাসের গোলকিপার। আবাহনীর কোনো প্রচেষ্টাই হালে পানি পায়নি।
