|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লিভারপুলের জন্য ম্যাচটা ছিল আবেগের। কারণ মাস দেড়েক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ক্লাবটির ফুটবলার ডিয়োগো জোটার মৃত্যুর পর এটাই ছিল ক্লাবের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। সে ম্যাচে তাকে স্মরণ করা হলো দারুণভাবে। আর তা আবেগে ভাসাল মোহামেদ সালাহসহ লিভারপুলের সবাইকে। বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচটা থেকে লিভারপুলকে পুরো তিন পয়েন্ট পাইয়ে দিয়েছেন সালাহ আর ফেদেরিকো কিয়েসা, ৪-২ গোলে ম্যাচটা জিতে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল।
দেড় মাস আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোটা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভা। জোটার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৮। দুর্ঘটনার মাত্র ১১ দিন আগে জোটা বিয়ে করেছিলেন রুতে কার্দোসোকে, যিনি তাদের তিন সন্তানের মা।
অ্যানফিল্ডে ম্যাচের আগে বড় একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘রুতে, দিনিস, দুয়ার্তে, মাফালদা – অ্যানফিল্ড সবসময় তোমাদের ঘর থাকবে। ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন।’ সমর্থকেরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং বিশাল এক মোজাইক তুলে ধরেন। সেখানে ছিল জোটা ও সিলভার নামের প্রথম অক্ষর, তাদের জার্সি নম্বর ও পর্তুগালের পতাকা।
ম্যাচেও তার কথা মনে পড়েছে ক্ষণে ক্ষণে। তা চূড়ান্ত রূপ নিল ম্যাচের শেষ অঙ্কে। সালাহ গোল করার পর প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জোটার একটি উদযাপন ভঙ্গি নকল করেন। ম্যাচ শেষে জোটার নাম ধরে যখন দর্শকরা স্লোগান দেন, তখন কেঁদে ফেলেন সালাহ।
তার আগে রোমাঞ্চ কম ছড়ায়নি ম্যাচটা। লিভারপুলের হয়ে প্রথমে গোল করেন হুগো একিতিকে। এরপর কোডি গাকপো গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তবে বোর্নমাউথ লড়াই চালিয়ে যায়। ডেভিড ব্রুকসের পাস থেকে প্রথম গোল করেন আন্তোয়ান সেমেনিও। পরে দুর্দান্ত দৌড়ে বল নিয়ে দ্বিতীয়বার গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান তিনি।
তবে এরপর তিনি এক মুহূর্তে রেফারিকে জানান যে একজন দর্শক তাকে বর্ণবাদী গালি দিয়েছে। সেই সমর্থককে পুলিশ বিরতির সময় মাঠ থেকে বের করে দেয়।
তবে শেষ মুহূর্তে নাটক বাকি ছিল। ৮৯ মিনিটে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন কিয়েসা। যোগ করা সময়ে সালাহ গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। আর তাতেই আবেগ, বিতর্ক, রোমাঞ্চের ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা।
