|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি কিংস শেষ কিছু দিন ধরে চলছিল কোচ ছাড়াই। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের বাছাইপর্বটাও তারা খেলেছে ডাগআউটে কোনো কোচের অনুপস্থিতিতে। তবে নতুন মৌসুম শুরুর আগে কোচ হিসেবে তারা নিয়োগ দিয়েছে এমন একজনকে, যিনি আবার অতীতে কাজ করেছেন রোনালদো নাজারিও, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাদের সঙ্গে। সেই আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজকে কোচ করে আনল কিংস।
কোচ পাওয়া নিয়ে দলটাকে শেষ কিছু দিনে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। চ্যালেঞ্জ লিগ বাছাইপর্বের আগে দলটা ব্রাজিলিয়ান কোচ সার্জিও ফারিয়াসকে দলে টানতে চেয়েছিল। মৌখিক সমঝোতাও হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি বেঁকে বসে অন্য ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন। ব্রাজিলিয়ান কোচকে না পেয়ে এবার আর্জেন্টাইন কোচে আস্থা রাখল কিংস।
তবে আর্জেন্টাইন এই কোচের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি কোচিং করিয়েছেন স্যামুয়েল এতো, পাবলো আইমার, রোনালদো নাজারিও, এর্নান ক্রেসপোদের গুরু হিসেবে কাজ করেছেন। এতো, আইমারকে তিনি পেয়েছিলেন মায়োর্কায়, আর রোনালদো, ক্রেসপোদেরকে ইন্টার মিলানে। দুই জায়গাতেই গোমেজ কাজ করেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ হেক্তর কুপারের সহকারী হিসেবে।
তিনি পূর্ণ মেয়াদে প্রধান কোচ হয়েও কম সাফল্য পাননি। মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাজিমের হয়ে ২০১৫ সালে এএফসি কাপ জেতেন তিনি। একই মৌসুমে মালয়েশিয়ান সুপার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যারিটি শিল্ড শিরোপা ঘরে তোলেন।
এর আগে খেলোয়াড়ি জীবনেও বেশ সফলই ছিলেন তিনি। রক্ষণভাগের সাবেক এই খেলোয়াড় ছিলেন দিয়েগো ম্যারাডোনার সমসাময়িক। আর্জেন্টিনার ফেরো কারিল ওয়েস্তে ক্লাবে কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের বড় একটা সময়। সেখানে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে ঘরোয়া লিগ জেতেন তিনি।
সেই তাকে এবার ডাগআউটে পাবে কিংস। তিনি অবশ্য যখন এসেছেন, তখন দলটা বেশ খারাপ সময় পার করছে। গেল মৌসুমে লিগ শিরোপা জিততে পারেনি কিংস। এই শিরোপা তো আছেই, মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরেও বড় কিছু অর্জন করতে চায় দলটা। সেই লক্ষ্যেই এবার মারিও গোমেজকে কোচ করে দলে আনল তারা।
