সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশকে ‘নিষিদ্ধ’ মাঠে খেলাচ্ছে নেপাল
ওমর ফারুক রুবেল, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম
২০২৩ সালের পর থেকে ফিফা ও এএফসির প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হয়নি এই দশরথ রঙ্গশালায়। ছবি- সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেপালিদের কাছে ফুটবলও যেন এক ঈশ্বরই বটে। এই খেলাটিকে নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। এখানকার ট্যাক্সি ড্রাইভার, হোটেলের বয় বেয়ারাও মেতে উঠেন ফুটবল উম্মাদনায়। আগে এমন দেখা গেলেও এবার বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ফিফা প্রীতি ম্যাচ নিয়ে সেই উচ্ছ্বাস নেই। সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠেয় এই ম্যাচের টিকেট নিয়ে কোনো হাহাকার নেই।
নেপালিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এর অন্যতম কারণ স্টেডিয়াম। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়াম নিয়ে অভিযোগের কমতি নেই। গত বছরের মার্চে মাঠের বাজে অবস্থার কারণে এখানে খেলতে চায়নি বাহরাইন। এরপর থেকে ফিফা ও এএফসির কাগজে-কলমে ম্যাচ আয়োজনে ‘অনুপযুক্ত’ এই মাঠ। অথচ সেই মাঠেই আজ নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এএফসি) ফিফা ও এএফসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে দশরথকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অনেক কারণে। মাঠে দর্শকদের ঢোকার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেই। এমনকি গ্যালারিতে আসন সংকট রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় মাঠ নিয়ে তেমন জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে না নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। কিন্তু মাঠের অবস্থা মনঃপূত হয়নি বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরারও। একই সঙ্গে নেপালের আবহাওয়া ভাবাচ্ছে তাঁকে।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘মাঠের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে আশা করি বৃষ্টি হবে না। যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে দর্শকেরা একটি ভালো খেলা দেখতে পাবেন।’
২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর ইয়েমেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ছিল দশরথে সর্বশেষ ফিফা বা এএফসি স্বীকৃতি প্রতিযোগিতা। এরপর থেকেই মাঠটি আন্তর্জাতিক সূচি থেকে বাদ। তবে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের হোম ম্যাচগুলো দশরথে আয়োজনের জন্য আবেদন করেছিল অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)।কিন্তু এএফসি সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। ফলে আসরটিতে ভিয়েতনাম (১৪ অক্টোবর) ও মালয়েশিয়ার (১৮ নভেম্বর) বিপক্ষে নেপালের হোম ম্যাচগুলো আর দশরথে অনুষ্ঠিত হবে না। খেলতে হবে কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তবে প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় বাংলাদেশ এই মাঠেই নামবে নেপালের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলই সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলছে মূলত অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য। এরপরও এই দু’টি ম্যাচ নিয়ে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন দুই দলের কোচ। তাইতো এসবের আড়ালে জয়েই চোখ দুই দলের।
