পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্ব ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার পেছনে কী রহস্য তা জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’ এই প্রবাদটি তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। পেশোয়ার জালমি প্রডকাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবর আজম এসব কথা বলেন। খবর ক্রিকেট পাকিস্তানের।
প্রতিভাবান ডান-হাতি ব্যাটার বলেন, তিনি অনুশীলনের সময় প্রতিদিন ৫০০-৬০০ বল খেলে থাকেন। এমনকি যখন তিনি ফর্মে থাকেন না তখন বলের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বাবরের মতে, ম্যাচগুলোতে ভালো করার একমাত্র পথই হলো কঠিন অনুশীলন। আমি বিশ্বাস করি, যে ক্রিকেটার মাঠে খেলতে চান তাকে অবশ্যই কঠোর চর্চা করতে হবে।
বাবর তার নৈপুণ্যের প্রতিদান পেয়েছেন। এজন্য তাকে আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে গণ্য করা হয়। গত বছর তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য আইসিসি তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত করেছে।
ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও বাবর তার ব্যাটিংয়ে যেকোনো ত্রুটির সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার উন্নতির জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন।
বাবর বলেন, আপনি পারফর্ম করুন বা না করুন; সমালোচনা সবসময়ই থাকবে। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা আছে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আপনি যখন আপনার ব্যাটিংয়ে কোনো ত্রুটি খুঁজে পান; তখন তা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে বলে আমি মনে করি; কিন্তু মানুষ মনে করেন বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হওয়া উচিত; যা করা সম্ভব নয়।’
শৈশবের ক্রিকেট থেকে শুরু করে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ছেলের সাফল্যের পেছনে বাবা আজম সিদ্দিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার সাফল্যের জন্য তার বাবার অবদানের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘তিনি (বাবা) সবসময় আমাকে আরও চেষ্টা করার জন্য চাপ দিতেন।’
বাবর বলেন, ‘আমার পারফরম্যান্সে বাবা খুব কমই সন্তুষ্ট হতেন। তিনি সবসময় আমাকে কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করতেন; যাতে আমি আরও ভালো করতে পারি।’
বাবর চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মৌসুম-৪ এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। প্রথম পিএসএলে নয়টি ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ ৪১৬ রান করেন তিনি।
নৈপুণ্যের প্রতি উৎসর্গ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে ক্রমাগত উন্নতি ভবিষ্যতে তাকে আরও বড় সাফল্য অর্জনে সহায়তা করবে।
