সাবস্ক্রিপশন ছাড়া সীমিত পোস্ট
ফেসবুকে লিংক শেয়ার করতে খরচ হবে টাকা
আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফেসবুক এখন পরীক্ষা করছে এমন একটি নতুন সিস্টেম, যেখানে সাবস্ক্রিপশন ছাড়া ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি লিংক শেয়ার করতে পারবেন না। মেটা এই পরীক্ষা শুরু করেছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীর ওপর। পরীক্ষামূলকভাবে জানানো হয়েছে, সাবস্ক্রিপশন না থাকলে তারা সীমিত সংখ্যার বেশি লিংক পোস্ট করতে পারবেন না। এই সুবিধার জন্য মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.৯৯ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,২২১ টাকা।
মেটা জানিয়েছে, এটি একটি সীমিত পরিসরের পরীক্ষা। সাবস্ক্রাইবাররা লিংকসহ বেশি সংখ্যক পোস্ট করতে পারবে কি না এবং এর জন্য অতিরিক্ত মূল্য যোগ হবে কি না, তা যাচাই করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ম্যাট নাভারা বলেন, ‘এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মেটা তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও আয় বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। এটি শুধু ভেরিফিকেশনের বিষয় নয়; বরং প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো ধীরে ধীরে সাবস্ক্রিপশনের আওতায় আনার একটি কৌশল।’
নাভারা আরও জানান, মেটা ইতিমধ্যেই ভেরিফায়েড সেবার মাধ্যমে নীল টিক, উন্নত অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট এবং ভুয়া পরিচয় থেকে সুরক্ষা প্রদান করে মূল্য নির্ধারণ করেছে। এখন কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন এবং অন্য ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী পাঠানোর মতো মৌলিক সক্ষমতাও ধীরে ধীরে পেইড ফিচারে রূপান্তরিত হচ্ছে।
তিনি নিজেও সম্প্রতি একটি নোটিফিকেশন পান, যেখানে জানানো হয়েছে—১৬ ডিসেম্বর থেকে সাবস্ক্রিপশন ছাড়া তিনি মাসে সর্বোচ্চ দুইটি লিংকই শেয়ার করতে পারবেন। নাভারা বলেন, ‘আপনি যদি একজন ক্রিয়েটর বা ব্যবসায়ী হন এবং ফেসবুককে গ্রোথ বা ট্রাফিকের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে এখন সেই সুবিধার জন্য মূল্য দিতে হবে—এটাই মূল বার্তা।’
ফেসবুক জানিয়েছে, এই পরীক্ষা শুধুমাত্র ‘প্রফেশনাল মোড’ ব্যবহারকারী এবং পেজ পরিচালনাকারী নির্বাচিত কিছু অ্যাকাউন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এসব ফিচার মূলত ক্রিয়েটর ও ব্যবসায়ীদের কনটেন্ট প্রচার এবং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই উদ্যোগ ক্রিয়েটরদের জন্য একটি কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরছে। ফেসবুক আগের মতো নির্ভরযোগ্য ট্রাফিক উৎস নাও থাকতে পারে। নাভারা বলেন, ‘মেটা সবসময় প্রথমে নিজেকেই অগ্রাধিকার দেবে। তাই একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ।’
এর আগে টুইটার (বর্তমানে এক্স) অধিগ্রহণের পর ইলন মাস্ক ভেরিফিকেশনকে পেইড সেবায় রূপ দিয়েছেন, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মেটাও অনুরূপ ভেরিফিকেশন সেবা চালু করে।
সূত্র: বিবিসি
