Logo
Logo
×

আইটি বিশ্ব

বাংলালিংক-জিএসএমএ ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৮ শতাংশ

Icon

আইটি ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০১৯, ০৮:০৪ এএম

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৮ শতাংশ

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ২২৮ শতাংশ। ছবি: জিএসএমএ

বাংলালিংক ও জিএসএমএ (টেলিকম শিল্পের আন্তর্জাতিক সংস্থা) পরিচালিত একটি বিশেষ ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে অপেক্ষাকৃত স্বল্প দক্ষ জনগোষ্ঠীপূর্ণ কিছু অঞ্চলে এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়। 


কর্মসূচিটির সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার বৃদ্ধিতে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রাথমিক পর্যায়ের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রদান ও এই প্রশিক্ষণের পর তাদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ধরন পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে তিন মাসব্যাপী এই পাইলট কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়।  

এই কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত কিছু অঞ্চলে প্রযুক্তি ব্যবহারে অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ গ্রাহকদের ইন্টারনেটের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাংলালিংক সেলস অ্যান্ড সার্ভিস পয়েন্ট (বিএসএসপি) সেলস এজেন্টদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

গ্রাহকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সেলস এজেন্টরা জিএসএমএ কানেক্টেড সোসাইটি প্রোগ্রাম প্রস্তুতকৃত মোবাইল ইন্টারনেট স্কিলস ট্রেনিং টুলকিট (এমআইএসটিটি) নামের একটি বিশেষ গাইড ব্যবহার করেন। গাইডটি প্রশিক্ষকদের মোবাইল ফোনে সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন (হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ও ফেসবুক) ব্যবহার, ব্যবহৃত ডেটার পরিমাণ দেখা ও নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে। 

মোট এক লাখ ১৭ হাজার জন গ্রাহক তিন হাজার ২০০ জন সেলস এজেন্টের কাছ থেকে এই পাইলট কর্মসূচিতে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কর্মসূচির ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রশিক্ষিত গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ২২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বাংলালিংকের নেটওয়ার্কে মোট ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পায় ৫৯%। 

এছাড়া প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ১৯% ডেটা ব্যবহার না করা গ্রাহক ও ১৫% অনিয়মিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা গ্রাহক নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীতে পরিণত হন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ কর্মসূচিটির পর ২৮.৫% বৃদ্ধি পায়। এই কর্মসূচি ও এর অন্যান্য ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট জানা যাবে https://bit.ly/2S4OqUV এই ঠিকানায়। 

এ ব্যাপারে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে নিঃসন্দেহে অসাধারণ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করেছে। তবে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া জরুরী। 

এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ কার্যকর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়িয়ে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। কর্মসূচিটির ফলাফল স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল প্রশিক্ষণের সুবিধা নির্ধারিত এই শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর কাছে ডিজিটাল সেবাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জিএসএমএ-এর হেড অফ কানেকটেড উইম্যান অ্যান্ড কানেকটেড সোসাইটি ক্লায়ার সিবথর্প বলেন, বাংলাদেশের মতো যেসব দেশে প্রযুক্তিগত দক্ষতার স্বল্পতা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক, সেই সব দেশে ডিজিটাল প্রশিক্ষণের উদ্যোগগুলিকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এমআইএসটিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। 

মোবাইল ইন্টারনেটের সংযোগ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংকের সঙ্গে এই উদ্যোগে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত বলে জানান ক্লায়ার সিবথর্প।

জিএসএমএ বাংলালিংক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম