সেমিনারে ফ্রিল্যান্সাররা
ট্রেড লাইসেন্স ও কর প্রদান সহজ করতে হবে
ট্রেড লাইসেন্স করা এবং কর দেওয়া সহজ করার তাগিদ দিয়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা। তারা বলেছেন, ব্যক্তিপর্যায়ে উদ্যোক্তা হতে গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ও কর প্রদানের কাগজ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। এজন্য সরকারের কার্যকর উদ্যোগ দরকার।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেল দুদিনের বিপিও সামিটের দ্বিতীয় দিনে এমন তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।
সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনটাক্ট অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাকো)। দ্বিতীয় দিনে ‘স্মল আইডিয়া বিগ ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। দুদিনের সেমিনারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছয় শতাধিক ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাইজার এক্স লিমিটেডের এমডি ফয়সাল মোস্তফা। তিনি বলেন, সারা দেশে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান করা উচিত। সিটি করপোরেশনে না গিয়ে ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোগে সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ইটার্নশিপের পরিধি বাড়ানোর প্রতি জোর দিতে হবে। পেপালের মতো আন্তর্জাতিক গেটওয়ে না থাকায় বিভিন্ন এজেন্ট হয়ে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, টানা হাজার বছর আমরা শাসিত হয়েছি। অন্য দেশে এ সময়টা হয়তো কম ছিল। এখন নিজস্ব পরিচয় নিয়ে দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো সংকোচ রাখা যাবে না। নিউটনের আপেল পড়ার ছোট চিন্তা থেকেই বড় কিছু হয়েছে। তাই সাইবার জগতে তরুণদের নিত্যনতুন চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গতিশীলতা স্মার্টনেসের প্রধান বিষয়।
বাকোর উপদেষ্টা আব্দুল কাফি বলেন, আয় বাড়াতে হলে কাজের কমিটমেন্ট টাইম ঠিক রাখতে হবে। দেশে পেপাল চালু না করার সমালোচনা করে তিনি মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই বলেও অভিযোগ করেন।
বাকোর পরিচালক ডা. তানজিবা রহমান বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা না আনলে সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে না। তখন নতুন উদ্যোগ নিতে গেলে ব্যাংক সহায়তা করবে না। দুই বছরের অফিস আর স্টাফদের বেতনের ব্যবস্থা না করে নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করতে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। আর সবাইকে শুধু ওয়েব ডেভেলপ আর গ্রাফিক্স জিজাইনে না এসে নতুন দিকে যেতে বলেন। তা না হলে কাজের ভালো দাম পাওয়া যাবে না।
ট্রেড লাইসেন্স ও কর প্রদান সহজ করতে হবে
সেমিনারে ফ্রিল্যান্সাররা
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৩ জুলাই ২০২৩, ২২:৫৮:০২ | অনলাইন সংস্করণ
ট্রেড লাইসেন্স করা এবং কর দেওয়া সহজ করার তাগিদ দিয়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা। তারা বলেছেন, ব্যক্তিপর্যায়ে উদ্যোক্তা হতে গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ও কর প্রদানের কাগজ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। এজন্য সরকারের কার্যকর উদ্যোগ দরকার।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেল দুদিনের বিপিও সামিটের দ্বিতীয় দিনে এমন তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।
সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনটাক্ট অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাকো)। দ্বিতীয় দিনে ‘স্মল আইডিয়া বিগ ইমপ্যাক্ট’ শীর্ষক অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। দুদিনের সেমিনারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছয় শতাধিক ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাইজার এক্স লিমিটেডের এমডি ফয়সাল মোস্তফা। তিনি বলেন, সারা দেশে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান করা উচিত। সিটি করপোরেশনে না গিয়ে ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোগে সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ইটার্নশিপের পরিধি বাড়ানোর প্রতি জোর দিতে হবে। পেপালের মতো আন্তর্জাতিক গেটওয়ে না থাকায় বিভিন্ন এজেন্ট হয়ে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, টানা হাজার বছর আমরা শাসিত হয়েছি। অন্য দেশে এ সময়টা হয়তো কম ছিল। এখন নিজস্ব পরিচয় নিয়ে দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো সংকোচ রাখা যাবে না। নিউটনের আপেল পড়ার ছোট চিন্তা থেকেই বড় কিছু হয়েছে। তাই সাইবার জগতে তরুণদের নিত্যনতুন চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। গতিশীলতা স্মার্টনেসের প্রধান বিষয়।
বাকোর উপদেষ্টা আব্দুল কাফি বলেন, আয় বাড়াতে হলে কাজের কমিটমেন্ট টাইম ঠিক রাখতে হবে। দেশে পেপাল চালু না করার সমালোচনা করে তিনি মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই বলেও অভিযোগ করেন।
বাকোর পরিচালক ডা. তানজিবা রহমান বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা না আনলে সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে না। তখন নতুন উদ্যোগ নিতে গেলে ব্যাংক সহায়তা করবে না। দুই বছরের অফিস আর স্টাফদের বেতনের ব্যবস্থা না করে নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করতে নিরুৎসাহিত করেন তিনি। আর সবাইকে শুধু ওয়েব ডেভেলপ আর গ্রাফিক্স জিজাইনে না এসে নতুন দিকে যেতে বলেন। তা না হলে কাজের ভালো দাম পাওয়া যাবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023