যেসব কারণে হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ফোনে বন্ধ হয়, জেনে নিন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১২:১৫ পিএম

হোয়াটসঅ্যাপ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ , যা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর জন্য নিয়মিত বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে থাকে, যা ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করেছে।
ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিরাপদ রাখতেই অনেক সময় কঠোর হয় প্ল্যাটফর্মটি। মাঝে মধ্যে শোনা যায়, বিভিন্ন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার অ্যান্ড্রয়েড ফোন তো থাকেই, সঙ্গে আইফোনও বাদ যায় না। মূলত অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনের যেসব ডিভাইসে পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম চালু রয়েছে, সেগুলোতে মেটার মালিকানাধীন এ অ্যাপটি বন্ধ করা হচ্ছে। এতে ব্যবহারকারীর চ্যাট আরও বেশি সুরক্ষিত করা সম্ভব বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। পুরোনো ফোন আপডেট না থাকার কারণে হ্যাকারের টার্গেটে থাকে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের নিরাপত্তা কমতে পারে বলেই মনে করে সংস্থাটি।
এ ছাড়া প্ল্যাটফর্মটি উন্নত অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন, ভিডিও কলিং এবং উন্নত ইউজার ইন্টারফেসের মতো আধুনিক ফিচার চালু করছে, যা পুরোনো ভার্সন সাপোর্ট করতে পারবে না। যদি আপনার স্মার্টফোন এ তালিকায় থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী, তা জেনে নেওয়া উচিত।
প্রথমেই আপনাকে আইওএস আপডেট করে নিতে হবে। যদি আইফোন ৬এস, ৬এস প্লাস অথবা এসই (ফার্স্ট জেনারেশন) থাকে, তাহলে সেটিংস > জেনারেল > সফটওয়্যার আপডেটে নেভিগেট করে আইওএস ১৫.৮.৪ আপডেট করে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে ডিভাইস হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত অ্যান্ড্রয়েড আপগ্রেড করে নিতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ বা তার পরবর্তী ভার্সন আছে, এমন স্মার্টফোন কিনুন। অথবা ফোনটিকে আপডেট করুন।
অথবা চ্যাটের ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন। অ্যাক্সেস হারানোর আগে ডাটা হারানো এড়াতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যাকআপ নেওয়া খুবই জরুরি। আইফোনে আইক্লাউড ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েডে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে। চ্যাট নিরাপদে সেভ করতে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সেটিংস > চ্যাট > চ্যাট ব্যাকআপে যেতে হবে।