Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হ্যালো...

আবারও প্রমাণ হয়েছে মানুষ মানুষের জন্যই

একজন সফল অভিনেতা আজিজুল হাকিম। মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু করলেও টিভি নাটকেই পরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে কাজ করেছেন ছবি এবং বিজ্ঞাপনেও। বর্তমানে তিনি নিজ গৃহেই অবস্থান করছেন। তার ব্যস্ততা এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি

Icon

অরণ্য শোয়েব

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

* অবসর সময় কাটছে কেমন?

** মার্চের মাঝামাঝি থেকেই চার দেয়ালের মাঝে আছি। এর মধ্যে শুধু তিন দিন বের হয়েছিলাম জরুরি কিছু কাজের জন্য। বাকি সময় কাটছে পরিবার নিয়ে। ছেলেকে পড়াশোনা করাই এবং এর ফাঁকে আমি একটু বই পড়ি। নামাজ পড়ছি এবং এখন রোজার মাস, রোজা রাখছি। পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ নিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের অঙ্গনের সবার খবর রাখছি।

* কাজ নিয়ে সর্বশেষ ব্যস্ততা কী ছিল?

** চ্যানেল আইয়ের দুটো অনুষ্ঠান করলাম করোনা সচেতনতা নিয়ে। ২২ মার্চ থেকেই তো সব শুটিং অফিসিয়ালি বন্ধ করে দেয়া হয় সংগঠন থেকে। তার আগে দীপ্ত টিভির একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ শুরু করেছিলাম। দুরন্ত টিভির জন্যও একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি। অনিমেষ আইচের পরিচালনায় একটি ল্যাপটপের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছি।

* করোনা প্রভাব কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে কেমন?

** সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন সবই বন্ধ। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরের মানুষেরই তো কাজে সমস্যা হয়েছে। আমার প্রফেশনই অভিনয় আর বন্ধ মানে সবই বন্ধ হয়ে যাওয়া। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায় কিছু শো ছিল আমার বৈশাখের, সেটাও হল না।

* এ মহামারীতে আপনার মনে কী উপলব্ধি হয়েছে?

** এটা আসলে প্রাকৃতিক বিষয়। এ মহামারীতে কারোর হাত নেই। সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস। প্রত্যেক মানুষকেই সচেতন হতে হচ্ছে। একজন আরেকজনের প্রতি যে দূরত্বটা তৈরি হয়েছিল যান্ত্রিক সময়ের কারণে সেটি এখন মানবিকরূপ ধারণ করেছে। আগেও মানবিক বিষয়টি ছিল, তবে এখন চর্চাটা আরও একটু বেড়েছে। মহামারী এলে যে মানসিক শক্তিটা প্রয়োজন সেটি চলে এসেছে বলে আমি মনে করি।

* মহামারী কেটে গেলে সমাজের কী পরিবর্তন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

** এখন তো আমরা সবাই অনুভব করছি সব বিষয়। যারা দিন আনে দিন খায়, নিু আয়ের যারা আছেন তাদের তো কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে তারাও কিন্তু আবারও কর্মে নামবেন। আসলে এসব মানুষের জন্য কিছু করা উচিত সবসময়। এই জায়গাটা স্ট্রং হওয়া দরকার আমার মনে হয়। শুধু মহামারী এলেই এমন সহানুভূতি জাগবে তা নয়, সব সময়ের জন্য সহানুভূতিটা থাকলে সব কিছুই সুন্দর লাগবে। এছাড়াও সব সমস্যা সমাধানে সবারই এগিয়ে আসতে হবে। আবারও প্রমাণ হয়েছে মানুষ মানুষের জন্যই।

* এ সময়ে অসহায়দের জন্য ব্যক্তিগত কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?

* আমি বিষয়টি বলতে চাই না ও প্রচার করতে চাই না। ব্যক্তিগতভাবে আমার আশপাশে যারা আছেন একদমই যারা নিু আয়ের যেসব পরিবার তাদের জন্য করছি এবং করবও। শুধু আমার নয় সবারই ভালোবাসার হাতটা বাড়িয়ে দিতে হবে। নিজ নিজ দায়িত্বে এখন সবারই এগিয়ে আসতে হবে। সাংগঠনিকভাবে যারা করছেন তারা তো অবশ্যই করবেন। এছাড়াও আমার কয়েকজন বিদেশি বন্ধু মিলে ‘আগামী ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফান্ড তৈরি করেছি। এটির মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে ভালোবাসার হাত।

* করোনা নিয়ে পরামর্শ কী?

** এই যে বিভিন্ন গুজব এবং যারা এ সময়ে বিভিন্ন অপকর্ম অনিয়ম করেছে- এ ব্যাপারে সবার সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা সবার মধ্যে তৈরি হয়েছে, এখন উচিত সবার সব কিছু মেনে চলা। আমি নিশ্চিত এই মহামারী আমরা জয় করতে পারব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম