Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

হ্যালো...

মানুষের আরও সচেতন হওয়া খুব জরুরি

মানবজাতির ইতিহাসে খুবই কঠিন একটি সময় যাচ্ছে। করোনাভাইরাস কাউকে চিনছে না। যারা অসতর্ক তাদেরই গ্রাস করছে। তাই সবাই ঘরবন্দি। অন্য সবার মতো ঘরবন্দি আছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তবে এই বন্দি জীবনের রয়েছে ব্যস্ততা। বর্তমান অবস্থা নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি

Icon

হাসান সাইদুল

প্রকাশ: ১১ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

* ঘরবন্দি জীবন কেমন কাটছে আপনার?

** চলে যাচ্ছে। ব্যস্ততা আছেই। আগে অভিনয়, গান নিয়ে বাইরে ব্যস্ততা ছিল। এখন ঘরে বসে বই পড়ি, গান করি, টেলিভিশন দেখি। এভাবেই সময় চলে যায়। তবে এ অবস্থার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।

* ব্যস্ত সময়ের সহকর্মী, পরিচিতজনদের খবরাখবর কি নিচ্ছেন বা তারা নিচ্ছে?

** হ্যাঁ, এখন তো প্রযুক্তির যুগ। সহজেই খবর নেয়া যায়। নিয়মিত ভিডিও কলে সহকর্মী, আত্মীয়স্বজনের খবর নিচ্ছি। তারাও নিচ্ছেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সঙ্গে প্রতিদিনই ভিডিও কনফারেন্স হয়।

* তাহলে তো শারীরিক দূরত্ব বাড়লেও সামাজিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে এ সময়...

** একদম। আসলে আমরা আগে এ বিষয়টি চিন্তাই করতাম না যে আমাদের একা থাকতে হবে ঘরবন্দি হয়ে। ঘরবন্দি আছি তবে পরিচিতজনদের থেকে দূরে নই। প্রতিদিন অনেকজনের সঙ্গে কথা হয়। খবর নেয়া হয়। আগে এমনটা হতো না। এটা ভাবলে বিষয়টি অসাধারণ মনে হচ্ছে।

* সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা ও শিক্ষক আপনি। এ কাজগুলো থেমে যাচ্ছে না তো?

** না, চর্চা চলছে। পড়াশোনাও করছি। টেলিভিশন দেখছি, বাসায় গান করছি। গান লিখেছি কয়েকটি। যদিও গান লেখা আমার কাছে কঠিন মনে হয়।

* করোনায় তো গান করতে পারতেন?

** একদিন লাইভে গাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে অডিয়েন্সের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিতে পারেননি। অনেকে বলেছেন এ সময় গান গাওয়াটা কেমন? আমিও ভাবলাম এখন গান থাক। মানুষ একটা অস্থির সময় কাটাচ্ছে। সব ঠিক হলে গান হবে আবার।

* অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে আপনার অ্যালবাম নিলামে উঠল। এ বোধ তৈরি হল কীভাবে?

** দেখুন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে বিত্তবানরা চেষ্টা করছেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে। আমিও দাঁড়িয়েছি, তবে সেটি কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করিনি। আর আমার প্রথম অ্যালবামের মাস্টার ক্যাসেট ও লিরিক নিলাম দেয়া মানে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আরেকটা অপশন। আমি আমার অপশন ফিলাপ করার চেষ্টা করেছি। আমার সঙ্গে অন্যরাও করছেন। আর বোধের কথা বলছেন, আমার দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমি দাঁড়াব না কেন? আমার দেশ ও দেশের মানুষ বেঁচে গেলে আর কি চাই। এটা আমার ভালোলাগা।

* আপনারা অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোর দিকে তাকালে তো ভীষণ ভয় হয়...

** এটা ঠিক। তবে কী করার আছে। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের জীবনের কথা চিন্তা না করি তবে কে কার দোষ দেবে। মানুষের সচেতন হওয়া খুব জরুরি। কিছুদিন ঘরে থাকলেই তো আগামী দিনগুলো সুন্দরে কাটানো যেত।

* ডাক্তার, পুলিশ ও সাংবাদিক- সাধারণ মানুষের চোখে অপেশাদারী এই তিন শ্রেণির পেশাদাররাই কিন্তু এ সময় ফ্রন্টলাইনে আছেন। আপনার কী মনে হয়?

** আমি কখনও কোনো পেশার মানুষকে ছোট করে দেখিনি। তবে দেশের এ দুর্দিনে এ তিন শ্রেণির মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এর জন্য তাদের স্যালুট। বাইরে থাকা নিরাপদ নয় এটা জেনেও তারা নিজের মুখে বলছেন আপনারা ঘরে থাকুন, আমরা আপনাদের জন্য বাইরে আছি। অবশ্যই তারা হিরো।

* করোনা-পরবর্তী পরিকল্পনা কী?

** কিছুই ঠিক করিনি। এমনিতে সব ঠিকঠাক। তবে এখন যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এটা বাদ দেব না। এটা নিয়মিত করার চেষ্টা করব।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম