Logo
Logo
×

আনন্দ নগর

৭৫ বছরে আবুল হায়াত

Icon

আনন্দনগর প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৭৫ বছরে আবুল হায়াত

জীবনের ৭৪ বছর কাটিয়ে আজ ৭৫-এ পা রাখছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যাভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক আবুল হায়াত। বাংলা ১৩৫১ সালের ২৩ ভাদ্র ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাংলা সাল হিসেবেই তিনি জন্মদিন পালন করেন। গুণী এ নাট্যব্যক্তিত্ব আজ আরটিভিতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ‘তারকালাপ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর বাকি সময় বাসাতেই কাটাবেন।

দিনটি প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘দেখতে দেখতে জীবনের দীর্ঘ একটা সময় পেরিয়ে এসেছি। জীবনে যা কিছু অর্জন তা নিয়েই আমি সন্তুষ্ট। আমার স্ত্রী শিরীন, দুই সন্তান বিপাশা, নাতাশা, দুই মেয়ের জামাই তৌকীর, শাহেদ এবং তাদের সন্তান- এ নিয়েই তো আমার সুখের পৃথিবী। সবার দোয়া, ভালোবাসার মধ্য দিয়েই বাকিটা জীবন পার করে দিতে চাই।’

তিনি আরও জানান, সাধারণত স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় স্কুলের হেডমাস্টার বয়স একটু কমিয়ে দেন। তার বেলায়ও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি।

যে কারণে সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্মদিন ২৫ জুন। অনেকেই তাকে ভুল করে এ দিনেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। নিজের জন্মদিনে আবুল হায়াত আরও বলেন, “বড় মেয়ে বিপাশার জন্মের আগেই তারা শংকরের উপন্যাস ‘বিপাশা’ অবলম্বনে বড় মেয়ের নাম রেখেছিলাম। মনে-প্রাণে চেয়েছিলাম প্রথম সন্তান যেন মেয়েই হয়। আল্লাহ আমার সেই স্বপ্ন, আশা কবুল করেছেন।

পরে যখন নাতাশা হলেন তখন আমারই প্রয়াত বন্ধু ইকবাল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাতাশার নাম রেখেছিলেন। দুই মেয়েকে নিয়েই আমি গর্ব করি।” অভিনয় ছাড়া নির্মাণেও সরব তিনি।

গত ঈদে রাবেয়া খাতুনের গল্পে ‘আপোষ’ নামে একটি নাটক নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়া গেল ঈদে তার অভিনীত সাগর জাহান পরিচালিত ‘কথা রেখেছিলাম’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘গল্পটি হতে পারতো ভালোবাসার’ অভিনয় করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আবুল হায়াত ২০০৮ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৫ সালে তিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হন।

আবুল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম